এবার তদন্তে উঠে এল নয়া তথ্য। জেলা জুড়ে এমন অনেক ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছেন যাঁরা নিজেরাই রেশন দোকানের মালিক বা ডিলার। দুর্নীতির টাকাতেই কি ডিস্ট্রিবিউটররা ধীরে ধীরে রেশন দোকানের মালিক হয়েছিল? তদন্তে ইডি। এই রকম কত ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছে জেলা জুড়ে তার তালিকা তৈরি করছে ইডি। ইডি এদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।
আরও পড়ুন: বিয়ের ‘পারফেক্ট’ বয়স ‘২৬’! জানাচ্ছে গবেষণা! কারণ শুনলে চমকে যাবেন…
advertisement
রেশন দুর্নীতিতে ডিস্ট্রিবিউটরদের কোটি কোটি নগদ অর্থ প্রদানের নথি ইডির কাছে হাতিয়ার। ইডির তল্লাশির সময় রেশন দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত করা নথির মধ্যে মিলেছে “cash payments made to distributors” লেখা নথি। বাকিবুর চুরির আটা ডিস্ট্রিবিউটরদের কত কোটি টাকায় দিচ্ছে সেই হিসেব নিজের কাছে রাখত। ইডির দাবি, এই অর্থ পরিমান কোটি কোটি টাকা।একইসঙ্গে রেশন দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত হওয়া নথির মধ্যে মিলেছে “open market sale of pds Ration” লেখা হিসাবের নথিও।
ইডির দাবি, খোলা বাজারে চুরির আটা কার কাছে কত বিক্রি হচ্ছে তার হিসেব রাখত বাকিবুর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের আরও দাবি, বাকিবুরের মতো মিল মালিকরা ডিস্ট্রিবিউটরদের কোটি কোটি টাকা দিয়েছে। মিল মালিক, ডিস্ট্রিবিউটর আর কিছু ব্যক্তি মিলে যোগসাজশ করে সাধারণ উপভোক্তাদের জন্য প্রাপ্য রেশন লুঠ করেছে। তদন্তে রেশন চুরি চক্রে যুক্ত ডিস্ট্রিবিউটরদের নামও ইডির হাতে এসেছে।
কারা কারা বাকিবুরের সঙ্গে যুক্ত ছিল তার তালিকা পেয়েছে ইডি। রেশন দুর্নীতি চক্রে সব থেকে নীচের দিকে রয়েছে এই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ব্যক্তিরা। এই ডিস্ট্রিবিউটর যাঁদের রেশন দোকান ছিল বা রেশন মালিক এবার তাঁরা ইডির নজরে।