আর এবার বিধানসভার তোলা সেই অভিযোগ কার্যত খারিজ করল রাজভবন। বুধবার সন্ধেয় রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানান হল রাজভবনে কোনও বিল আটকে নেই। শেষ ১২ বছরে যে ২২টি বিল রাজভবনে আটকে থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সরাসরি খারিজ করল রাজভবন। গতকাল অর্থাৎ ৭ তারিখ সন্ধে ছটা থেকে রাজভবনের আধিকারিকদের নিয়ে একটি পর্যালোচনামূলক বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিধানসভায় পাশ হওয়া কোনও বিলের কী পরিস্থিতি তা সম্পর্কে বোঝার জন্য এই আলোচনা।
advertisement
আরও পড়ুন: শাশুড়ি-বউমার ‘তু তু-ম্যায় ম্যায়’ মুহূর্তে গলে জল হবে! দিওয়ালিতে করতে এই ছোট্ট কাজ, জানুন জ্যোতিষকথা
রাজ্য সরকারকে রাজভবনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও বিল আপাতত আটকে নেই রাজভবনে। ২২ টি বিলের বর্তমান কী পরিস্থিতি রয়েছে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে রাজভবন। বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে রাজভবন বলেছে ১২টি বিল নিয়ে রাজ্য সরকারের থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে যে ব্যাখ্যাগুলি এখনও পর্যন্ত রাজ্যের তরফে পাওয়া যায়নি। একটি বিল রাষ্ট্রপতির কাছে রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত নিয়ে। দুটি বিল অনুমোদন দেওয়া রাষ্ট্রপতির বিবেচনাধীন রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত রয়েছে যা এখনও পর্যন্ত তা আদালতের বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: কালী পুজোয় শীতের আমেজ, না কি হতে পারে বৃষ্টি? আবহাওয়ার বড় খবর জানুন
যে বিলগুলি রাজ্যের ব্যাখ্যা না পাওয়ার জন্য আটকে রয়েছে, সেই বিলগুলি দ্রুত অনুমোদনের জন্য “স্পিড” নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে রাজভবন। এই স্পিড প্রোগ্রামের অধীনে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী বা সচিবদের সঙ্গে আলোচনা করেই যে বিলগুলি রাজভবনে আটকে রয়েছে তা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে রাজভবন। রাজভবনে তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার যে বিল সেই বিল বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন।
হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন সংক্রান্ত বিল ২০২২ সালের ১৪ মার্চ থেকে রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যার উত্তর পাওয়া যায়নি। প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিল ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারের থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও তার উত্তর আসেনি। দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস আমেন্ডমেন্ট বিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু সেই ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত আসেনি রাজ্যের তরফ থেকে। এদিন রাজভবন থেকে বিবৃতি দিয়ে ২২ টি বিলের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিকমহলেও শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়