TRENDING:

সুখবর, নয়া টালা সেতুর নকশা অনুমোদন করল রেল 

Last Updated:

এই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ভাঙার কাজ শুরু হয়। লকডাউন পর্বেও টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ চলতে থাকে।সম্প্রতি ভাঙার কাজ সম্পূর্ণ শেষ নতুন করে ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে পিলার পাইলিংয়ের কাজ শুরু করেছে লারসেন এন্ড টুব্রো কর্তৃপক্ষ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা:  নয়া টালা সেতুর নকশা অনুমোদন করল রেল।পূর্ত দফতরকে নকশা অনুমোদন করে পাঠালো রেল।গত ১৪ ডিসেম্বর বৈঠক হয় রেল-রাজ্য।এই রোড ওভার ব্রিজ দাঁড়িয়ে থাকবে ৬টা পিলারের ওপর।মাঝেরহাট সেতুর নকশা অনুমোদনের কাজে ঢিলেমির অভিযোগ এনেছিল রাজ্য। সূত্রের খবর সেই কারণেই দ্রুত টালা সেতুর নকশা অনুমোদন করল রেল। আগামী দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ করতে চায় রাজ্য। উত্তরের যন্ত্রণা কমবে টালা সেতু চালু হলে। কবে চালু হবে নয়া টালা সেতু? অপেক্ষা উত্তর শহরতলির মানুষের।
advertisement

নয়া টালা সেতু হবে কেবল স্টেয়ড। তবে এখানেও সেতুর নীচে রেল লাইন থাকায় ফের রেল-রাজ্য সমস্যা।পুরনো টালা সেতু ভাঙতে ইতিমধ্যেই ৫৫ লাখ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য। এই টাকা রেলকে দিয়েছে রাজ্য। তবে আগের চেয়ে নয়া সেতু হবে অনেক লম্বা ও চওড়া। টালা ব্রিজ প্রথম চালু হয় ১৯৬২ সালে। তখন ভার বহনের সক্ষমতা  ছিল ১৫০ টন। নতুন ব্রিজ হবে ২৪ মিটার চওড়া ৬১০ মিটার লম্বা। চার লেনের কেবল স্টেয়ড ব্রিজ। দুদিকে পিলার থাকলেও রেলের অংশে পিলার থাকবে না।২৪০ মিটার রেলের অংশ। যার নিচে ফাঁকা। বাকি ১৮০ মিটার পিলারের উপর। পাইকপাড়া দিকে অ্যাপ্রোচ ১৯০ মিটার। চিৎপুরের দিকে অ্যাপ্রোচ ১৮৭ মিটার।নতুন ব্রিজ তৈরিতে মোট খরচ প্রায় ২৬০ কোটি। ভার বহন ক্ষমতা হবে ৩৮৫ টন।২০২২ এর ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন ব্রিজের কাজ শেষ হবে।২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর সব সেতুর সঙ্গে টালা ব্রিজ এর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। বিশেষজ্ঞরা মত দেন সেতু ভেঙে ফেলার।২০১৯ এর পুজোর আগে সেতুতে যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয় ভারী যান চলাচল বন্ধ করা হয়।দুই হাজার কুড়ি সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে টালা ব্রিজ যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ।

advertisement

এই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ভাঙার কাজ শুরু হয়। লকডাউন পর্বেও টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ চলতে থাকে।সম্প্রতি ভাঙার কাজ সম্পূর্ণ শেষ নতুন করে ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে পিলার পাইলিংয়ের কাজ শুরু করেছে লারসেন এন্ড টুব্রো কর্তৃপক্ষ৷ সেতুর নীচে অনেক অসুবিধা আছে।তার মধ্যে গ্যাস, কেবল, টেলিফোন লাইন। এই সব সরিয়ে কাজ করা হচ্ছে। রাজ্য আশাবাদী আগামী দেড় বছরে এই সেতু উদ্বোধন হবে।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পুরনো টালা সেতুর এক দিকের লেনের ভার বহন ক্ষমতা ছিল ৫৬ টন করে। আর তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল ২৫ মিটার লম্বা ৩৯টি গার্ডার। প্রি-স্ট্রেসড কেব্‌ল দিয়ে গার্ডারগুলি দু’দিক থেকে একে অপরের সঙ্গে জোড়া ছিল। তবে নতুন করে টালা সেতু নির্মাণের সময়ে আইআরসি-এর নির্দেশিকা মেনে সাঁজোয়া গাড়ির ভারবহন ক্ষমতাসম্পন্ন সেতু তৈরি করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। নয়া সেতুর নকশার মূল লক্ষ্য, অন্তত ১০০ বছরের জন্য সেতুর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা। আর তাই ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের (আইআরসি) সংশোধিত ‘কোড’ অনুযায়ী যাতে নতুন টালা সেতু যুদ্ধের সাঁজোয়া গাড়ি বা ট্যাঙ্কারের ভারও বহন করতে পারে, সেই উপযোগী নকশা বানানো হচ্ছে। সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়না সেতু নিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতেই কাজ হচ্ছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

ABIR GHOSHAL

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
সুখবর, নয়া টালা সেতুর নকশা অনুমোদন করল রেল 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল