শনিবার সন্ধ্যে থেকেই যেহেতু লেক বন্ধ, ফলে পুলিশ কর্মীরা শনিবার থেকেই মোতায়েন থাকছেন। ছটের জন্য একদিকে যেমন কেএমডিএ-এর পক্ষ থেকে পথ নাটক বা মাইকে প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে, তেমনই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ছট পুজোয় কড়া নজরদারির ব্যবস্থা থাকছে কলকাতা পুলিশের।
আরও পড়ুন: ‘বিমান তখন ফুল স্পিডে, হঠাৎই দেখা গেল আগুনের শিখা...’’ ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন ইন্ডিগোর যাত্রী
advertisement
আরও পড়ুন: রাঁচিতে হাড় হিম করা ঘটনা, ১৩ বছরের ভাইকে গুলি করে হত্যা দাদার
পুলিশ সূত্রে খবর, শহর জুড়ে ছট পুজোর জন্য ৪৯০০ পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন থাকবেন। শহরের ১৩২টি ঘাটে বিকল্প পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে, লালবাজার সূত্রে খবর তেমনই। শহর জুড়ে পুলিশ পিকেট থাকছে ১৭০টি জায়গায়। প্রতিটি গঙ্গার ঘাটে থাকছে ডিএমজি কর্মীরা৷ বাড়তি কর্মীদেরও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লালবাজারের পক্ষ থেকে। ছট পুজোয় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকেও বাড়তি নজর থাকছে।
ছটের সময় ২টি স্কুবা ড্রাইভার তৈরি থাকছে। রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছট পুজোয় নিষেধ থাকায় ডেপুটি কমিশনার নজরদারির দায়িত্ব থাকবেন। বিকল্প ঘাটের ব্যবস্থা করা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে কলকাতা পুলিশের । দু’টি ঘাটেই বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে ছট পুজোর দিনে। ছট পুজোয় কিছু বছর আগে রবীন্দ্র সরোবরে তালা ভেঙ্গে ঢোকার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি হয়েছিল। সেই ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না হয় তাই এই বাড়তি নিরাপত্তা কলকাতা পুলিশের।
সব মিলিয়ে বলা যায় কেএমডিএ, পুলিশ প্রশাসন সকলেই সচেতন ছট পুজোর জন্য। রবীন্দ্র সরোবর বা সুভাষ সরোবরে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাই নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে এই এলাকাগুলি। রবীন্দ্র সরোবরের মতো ন্যাশনাল লেকে জলে বাস্তুতন্ত্র এবং জ্লজ প্রাণীদের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে বাড়তি সচেতনতার জন্য এ বার কেএমডিএ-এর পক্ষ থেকে পথ নাটকের মাধ্যমে সচেতনতা বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশেরও বাড়তি কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
ARPITA HAZRA