যদিও যাত্রীরা একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। সেগুলি হল,
১) বন্দে ভারতের বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
২) আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই ট্রেন কন্ট্রোল করা খুব ঝঞ্ঝাটের ব্যাপার।
৩) এই ট্রেনের দরজার সেন্সর, দরজা বন্ধ না করা থাকলে নাকি ট্রেন চলবে না, কিন্তু যদি এসি বন্ধ, থাকে তাহলে যাত্রীরা ভিতরে বসে থাকবেন কী করে?
advertisement
৪) গতকাল যখন যাত্রীরা অতক্ষণ ওইরকম দুর্ভোগ সয়েছেন, তখন কি রেলের উচ্চতর কর্তৃপক্ষের আরেকটু মানবিক হওয়া উচিত ছিল না? এক কাপ চায়ের জন্যও ১০ টাকা করে নেবেন!
৫) অত রাত পর্যন্ত কোনও যাত্রীকে ডিনার দেওয়া হয়নি। লাস্ট লাইভ লোকেশন ছিল বালাসোর স্টেশন, তখন রাত ১০টা বেজে গিয়েছে। বলা হয়েছে খড়্গপুর পৌঁছলে নাকি খিচুড়ি খাওয়ানো হবে, কেন রেল কর্তৃপক্ষ এদিকে একটু নজর দিলেন না?
৬) প্রতিটা ওয়াশ রুমে জল ছিল না দীর্ঘক্ষণ, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাতে জল সরবরাহ ঠিক রাখা যায় সেদিকেও রেল কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।
আজ, সোমবার বন্দেভারত এক্সপ্রেস বাতিল। আজ সারাদিন কারশেডে রেক পরীক্ষা করা হবে ও সারানো হবে৷ কাল থেকে অবশ্য অবশ্য পরিষেবা ফের শুরু।
হাওড়া পুরী রুটে চলার দ্বিতীয় দিনে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বন্দে ভারত। পুরী থেকে যথা সময়ে ছেড়ে এলেও ওড়িশার বৈতরণী ও মঞ্জুরি রোড স্টেশনের মাঝে বিকেল প্রায় সাড়ে চারটা নাগাদ খারাপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হয় বন্দে ভারত। প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ট্রেনের সামনে ইঞ্জিনের উপর। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনের বেশ কিছু অংশ। প্রায় বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে চলে ট্রেন মেরামতির কাজ।