সম্ভব নয় এই সব রুটের বাসের ওপর নজরদারি চালিয়ে যাওয়া। বেশ কিছু রুটের বাসের তরফ থেকে বাসে টাঙিয়ে রাখা আছে ভাড়ার তালিকা। না সরকার স্বীকৃত ভাড়ার তালিকা নয়। টাঙানো আছে, নিজেদের ইচ্ছা মতো ভাড়ার অংশের একটা ছাপানো কাগজ। যা অনেকটাই বিজ্ঞাপনের পোস্টারের মতো। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ক্রমশ হয়ে চলেছে। তাকে আটকানোর সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাস নামাতে গেলে দৈনিক যে খরচ হচ্ছে তা বাড়তি ভাড়া দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে।
advertisement
তাই সংগঠন বা পরিবহণ দফতর নয় একেবারে মালিকরা নিজেরা বসেই বাসের ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছেন তা আদায়ও করছেন যাত্রীদের থেকে। রুট নাম্বার ৪৬, যারা কর মকুবের পরেও বাড়তি ভাড়া নিয়ে চলেছে। ৪৬ এ, ৪৬ বি এই একই পথে সামিল। এই সব রুটের বাস চলে এসপ্ল্যানেড থেকে বিমানবন্দর, নিউটাউন এই সব রুটে। যাত্রী এই রুটে যথাযথ বলেই জানাচ্ছেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। সেখানেই বাসের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বাড়তি৷ এই সব রুটের বাসে উঠলেই দিতে হবে ১০ টাকা। এর পর আছে ১২ টাকা। তারপর আছে ১৪ টাকা। কেন নেওয়া হচ্ছে এই ভাড়া? মালিকদের বক্তব্য, অস্বাভাবিক জ্বালানি দাম বৃদ্ধি বা যাত্রী কম থাকা সত্ত্বেও গত দু'মাস ধরে তারা বাস পরিষেবা দিচ্ছে। তাই এই বাড়তি ভাড়া তাদের প্রাপ্য। ঝুঁকি ও ক্ষতি নিয়ে গাড়ি চলছে তাই এই বাড়তি ভাড়া তারা নিতেই পারে। অনেক যাত্রী অবশ্য বাসে উঠে নুন্যতম যাত্রার জন্য ৭ টাকা দিলে তাকে শুনতে হচ্ছে কটূ কথা। ফলে ১০,১২,১৪ নিয়েই চলছে বাস। পরিবহন দফতর অবশ্য বলছে তারা অভিযোগ পেয়েছে। ব্যবস্থা নেবে তারা।
ABIR GHOSHAL