প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালি থেকে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু ওই কেন্দ্রেও বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল তৃণমূল প্রার্থী স্বর্ণকমল সাহার কাছে ৫৮,২৫৭ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় বিজেপি-র হয়ে লড়ে চর্চায় আসেন প্রিয়াঙ্কা। ভবানীপুরের উপনির্বাচনে তাই 'লড়াকু' প্রিয়াঙ্কাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে পাঠায় গেরুয়া শিবির। কিন্তু এদিন ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল, তৃণমূল নেত্রীর কাছেও ৫৮, ৮৩৫ ভোটে পরাজিত হলেন প্রিয়াঙ্কা। অর্থাৎ, ৫৮ হাজারের গেরো কিছুতেই পিছু ছাড়ল না প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের।
advertisement
যদিও এদিন ফলপ্রকাশের পর প্রিয়াঙ্কা দাবি করেছে, 'দল হারলেও ভবানীপুরের নির্বাচনে আমি'ই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও আমি ২৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছি। আমি আমার কাজ তাই চালিয়ে যাব।' তবে, তাঁর পরাজয়ের কারণ যে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা, তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে কেন বিপুল হার, BJP-র 'গলদ' প্রকাশ্যে আনলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল!
তাঁর কথায়, 'আমি স্বীকার করে নিচ্ছি, ভবানীপুরে আমাদের দলের সংগঠনের দুর্বলতা ছিল। ভোটে জেতার জন্য যে সাংগঠনিক শক্তির প্রয়োজন হয়, তা আমাদের ছিল না। একজন নেতা কখনও নির্বাচন জেতেন না, একজন নেতা কখনও নির্বাচন হারেন না। জেতে বা হারে সংগঠন।' তবে, জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েও প্রিয়াঙ্কা এদিনও তৃণমূলের বিরুদ্ধে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন। তবে, সবকিছুর পরও চর্চায় থেকেছে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের ৫৮ হাজারি গাঁট!
