এদিন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "বাংলার মানুষের বাঁচার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকারই ছিনিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল(TMC)। আমার লড়াইটা বাংলার মানুষের স্বার্থেই।" দিলীপ ঘোষকেও দেখা গেল প্রিয়াঙ্কার প্রচারসঙ্গী হিসেবে। চোখেমুখে আত্মবিশ্বাসের ছাপ, মমতা হেভিওয়েট সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ প্রকাশ না করেই দিলীপ ঘোষ বলছেন, রাজনীতিতে কখন কী ঘটে কেউ বলতে পারে না।" দিলিপের যুক্তি, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের লড়াই বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে।
advertisement
আরও পড়ুন-সশরীরে নেই, 'বড়দার ছায়া' সঙ্গী করেই ভবানীপুরের যুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল!
অবশ্য বিজেপি যাই বলুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াইয়ে ধারে ও ভারে প্রিয়াঙ্কা যে কিঞ্চিৎ পিছিয়ে তা মেনে নেবেন যে কোনও রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিই। ২০১৫ সালে কলকাতার পুরনির্বাচনে প্রথমবার প্রার্থী হন প্রিয়াঙ্কা। সেবার তাঁকে পরাজিত হতে হয়েছিল। এন্টালি আসনে প্রার্থী হয়েও খালি হাতেই ফিরতে হয় প্রিয়াঙ্কাকে। তৃণমূলের সঙ্গে ওই আসনে বিজেপির ভোটের ব্যবধান ছিল প্রায় ৫৯ হাজার। অন্য দিকে গোটা তৃণমূল দলটাই বারবার দাবি করে এসেছে বিধানসভা নির্বাচনের সব কেন্দ্রে একজন প্রার্থী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে মমতার বিরুদ্ধে লড়াই প্রিয়াঙ্কাকে যে কিছুটা লাইমলাইট দেবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বাবুল সুপ্রিয় হোন বা শুভেন্দু অধিকারী বহু বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ প্রিয়াঙ্কা। সূত্রের খবর, স্বয়ং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শ মেনেই কেন্দ্র তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে দল। জীবনের তৃতীয় ভোট লড়াইয়ে প্রিয়াঙ্কা হার জিত থাকে সামনে না রেখে চাইবেন জমি তৈরি করতে, তাতে আর সন্দেহ কী। তবে মুখে প্রিয়াঙ্কা বলছেন, লড়ছি মানুষের জন্য।