২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে হাম ও রুবেলার টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে শিবির করে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে সদ্যোজাত থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীকে হাম (মিজেলস) ও রুবেলার টিকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের গাড়িতে বান্ডিল-বান্ডিল টাকা, জলপাইগুড়ির ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি মমতার
advertisement
এদিন সেই টিকাকরণ চালাতে পুরসভার কী কী সমস্যা, তা স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের কাছে জানায় পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানেই উঠে আসে বেসরকারি স্কুলের অনাগ্রহের ছবি। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না কলকাতার অনেক বেসরকারি স্কুল। প্রায় দু'শটি বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে জানিয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠান এই টিকাকরণ শিবির করতে ইচ্ছুক নয়। শহরে সরকারি, পুরসভা স্কুল ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ২৫০০টি স্কুলে টিকাকরণ করাতে হবে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি স্কুলে চিঠি পাঠিয়ে মাইক্রো প্ল্যানিং শেষ করা হয়েছে। তিনটি মাত্র বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সবকটি বেসরকারি স্কুলই পুরসভার সঙ্গে অসহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ।
এই প্রথম শিবির করে হাম ও রুবেলার প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সব রাজ্যে এই শিবির হয়ে গিয়েছে। জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গে এই টিকাকরণ শিবির শুরু হচ্ছে। সোমবার এ নিয়ে পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগ বৈঠক করে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলেন পুরসভার আধিকারিকেরা। জানুয়ারি থেকে শহরে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ, যা মাসখানেক চলবে৷
এদিন পুরসভায় ডেপুটি মেয়র এবং কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কলকাতা পুরসভার তরফে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচিকে সফল করার জন্য। পুরসভার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে অন্যতম হলো টিকার সচেতনতায় জোর দেওয়া।
★ ডিসেম্বর মাস জুড়ে বাড়ি বাড়ি হাম ও রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি প্রচার করতে লিফলেট বিলি করা হবে।
★আশাকর্মী এবং একশো দিনের কর্মীরা লিফলেট বিলি করবেন।
★স্বাস্থ্য দফতরের এক লক্ষ লিফটেলেট দেবে কলকাতা পুরসভাকে।
★কলকাতা পুরসভা আরও চার লক্ষ লিফলেট বানাবে।
★ প্রতিটি স্কুলে একটি করে ব্যানার দিতে হবে।
★সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
এসবের পরেও সব থেকে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশিক্ষিত টিকাকর্মীর অভাব। একমাসেরও বেশি সময় ধরে এই কর্মসূচি চালু রাখতে কলকাতা পুরসভার প্রয়োজন অতিরিক্ত ২৫০ জন টিকাকর্মী । কিভাবে শূন্যস্থান পূরণ করা হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা।