বহুক্ষেত্রেই যাত্রীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, বেসরকারি বাস নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া নিচ্ছে। কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও বা আবার তিনগুণ ভাড়া নিচ্ছে। যাত্রীরা অভিযোগ করছেন বেসরকারি বাসের কোথাও ভাড়ার তালিকা বা ফেয়ার চার্ট লাগানো থাকে না। ফলে যাত্রীরা বেশি ভাড়া নিয়ে প্রতিবাদ করলেও কিছু করার থাকে না (Bus Fare)।
আরও পড়ুন-Weather Update: আজ থেকে বৃষ্টি শুরু, কোন কোন জেলায় বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানুন বিশদে
advertisement
যদিও রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে পরিষ্কার করে দিয়েছেন, বাসে ফেয়ার চার্ট ঝোলাতেই হবে। বাসের ভাড়া যথাযথ নিতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যাত্রীদের অভিযোগ জানানোর সরাসরি ব্যবস্থা থাকবে৷ প্রতিটি বাস স্ট্যান্ডে থাকবে অভিযোগ জানানোর জন্যে কমপ্লেন বক্স। সেগুলি রুট ম্যানেজার বা টাইম কালেক্টর মারফত সংগ্রহ করতে চায় পরিবহণ দফতর। যদিও রাজ্যের প্রস্তাব মানতে রাজি নয় বাস মালিকদের একাংশ।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘আমরা দু’বছর ধরে বলছি সরকার বাসের ভাড়া আগে ঠিক করুক। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে বাসের ভাড়া স্থির করলে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। আমরা বহুবার বাসের ভাড়া বাড়ানোর অনুরোধ করে আসছি। যেভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে তাতে ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো মালিকদের পক্ষে অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’’ ইতিমধ্যেই কলকাতার রাস্তায় কমতে শুরু করেছে বেসরকারি বাসের সংখ্যা।
আরও পড়ুন-যৌনজীবন হবে সুখে পরিপূর্ণ, মহিলাদের যা বিশেষ করে জেনে রাখা দরকার!
বাস মালিকদের তরফে জানানো হচ্ছে একাধিক ইস্যুতে তারা সমস্যায়। ফলে এই সময়ে ভাড়া না বাড়ালে তাদের পক্ষে গাড়ি চালানো আর সম্ভব হচ্ছে না। করোনা লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল গণপরিবহণ ব্যবস্থা। ফলে বাস মালিকদের দীর্ঘ অসহায়তার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন তারা। তবে রাজ্য অনড়, তারা বাসের ভাড়া এখনই বাড়াবেন না।
