পর্ষদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে। পর্ষদ সূত্রের খবর, ১৯ তম পর্যায়ের পরে আর কোনও প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া বাকি থাকবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করা যায় না কি, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন: ‘বিনা বিচারে ১ বছর!’, আদালতে পৌঁছেই বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ক্ষোভ উগরে বললেন..
advertisement
কিন্তু, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া কার্যত শেষ না হওয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অবশ্য প্যানেল বা মেধা তালিকা প্রকাশ করতে পারিনি পর্ষদ। পর্ষদের আধিকারিকরা দাবি করছেন ১৯তম পর্যায় ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হলে আর কোনও প্রার্থী থাকছে না ইন্টারভিউ নেওয়ার মতো। সে ক্ষেত্রে, তারপর পর্ষদ প্যানেল বা মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারে।
তবে, কবে প্যানেল প্রকাশ করা হবে সেই বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট কিছু জানায়নি পর্ষদ৷ সূত্রের খবর, আগামী অগাস্ট মাসের মধ্যেই প্যানেল প্রকাশ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: ছাত্রীকে ধর্ষণ করে স্কুলের শৌচালয়ে বন্দি! স্কুল শিক্ষকের বীভৎস কীর্তি ফাঁস এবার
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল অবশ্য বলেছেন, ‘‘আমাদের কাজ চলছে। যথাসময়ে আপনাদের জানিয়ে দেব প্যানেল প্রকাশ করার বিষয়।” প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যথেষ্ট সতর্ক।
বিশেষ করে প্রার্থীদের তরফে যে ডকুমেন্টগুলি জমা দেওয়া হয়েছে সেগুলি যাচাই করার জন্য একাধিক পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে পর্ষদের তরফে। কোথাও কোনও ডকুমেন্ট নকল দেওয়া হচ্ছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন শেষ পর্যায়ের ভেরিফিকেশন চলছে বলে পর্ষদ সূত্রে খবর৷ এই দফা ১১ হাজারের বেশি শূন্য পদে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে।
ইন্টারভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রেও এবার বিশেষ সতর্কমূলক পদক্ষেপ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি হয়েছে। শুধু তাই নয়, যাঁরা পরীক্ষক ছিলেন, তাঁরা ল্যাপটপের মাধ্যমে অনলাইনে ইন্টারভিউ নিয়ে প্রাপ্ত নম্বর দিয়েছেন।
অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে পর্ষদের সার্ভারে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর চলে গিয়েছে। পর্ষদের দাবি, এক্ষেত্রে কোনও ম্যানিপুলেশন হওয়ার জায়গা থাকবে না। শুধু তাই নয়, ইন্টারভিউ দিতে আসা প্রার্থীদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের সময়ও করা হয়েছে ভিডিওগ্রাফি। সবমিলিয়ে এবার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও বাড়তি সতর্ক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়