ইতিমধ্যেই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিপুল সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কার নামেও প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে। ইডির দাবি, শুধুমাত্র চাকরি বিক্রি করেই নয়, টাকার বদলে সরকারি কর্মীদের বদলি করার ব্যবস্থাও নাকি করে দিতেন তৃণমূলনেতা শান্তনু।
advertisement
সরকারি চাকরিতে বার্ষিক মাত্র ৬ লক্ষ টাকা বেতন হওয়া সত্ত্বেও তার সম্পত্তির মোট মূল্য কোটি কোটি টাকারও উপরে। এছাড়া, এই সমস্ত কালো টাকাকে সাদা করার জন্য একাধিক কোম্পানিও খুলেছিলেন তিনি। তার মধ্যে বেশ কয়েকটির ডিরেক্টর পদে রেখেছিলেন স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে। জানা গিয়েছে, এমনই একটি সংস্থা ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল। শুরু থেকেই সেই সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে।
শুধু তাই নয়, এছাড়াও, শান্তনুর নামে রয়েছে বিভিন্ন রিসর্ট, রেস্তোরাঁও। আগে তেমন কোনও সম্পত্তি না থাকা সত্ত্বেও, এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক তিনি ও তাঁর স্বামী কী ভাবে হলেন, প্রিয়াঙ্কার কাছ থেকে সেই সংক্রান্ত তথ্য পেতে চায় ইডি।
শনিবার শান্তনুকে কলকাতার মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শ্রীপর্ণা রাউতের আদালতে তোলা হয়। সেখানেই আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির কথা তুলে ধরতে হোটেল, রিসর্ট-সহ অন্তত কুড়িটি সম্পত্তির কথা জানায় ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, শান্তনু নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত। দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা সম্পত্তিতে এবং স্ত্রী-সহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কার জমা দেওয়া সম্পত্তি এবং আয়করের হিসাবে অসঙ্গতি পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
এখন শান্তনুর পিছনে কে বা কারা ছিলেন, দুর্নীতির টাকা শান্তনু কোন ‘প্রভাবশালী’দের দিতেন, তদন্তে তা জানার চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
গত ১০ মার্চ, দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে ইডির হাতে গ্রেফতার হন বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ইডি-র দাবি, এই শান্তনুই নাকি ঠিক করতেন, কত টাকায় স্কুলের চাকরি বিক্রি করা হবে। এমনকি, তাপস মণ্ডলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এই শান্তনুই। শান্তনু-তাপস-কুন্তল। এই তিনজনই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির ত্রিমূর্তি। অভিযোগ ইডির।