রবিবার তাপস এবং নীলাদ্রি দুজনকেই তলব করেছিল এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। সিবিআই সূত্রের খবর, তাপসের বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখতে পান গোয়েন্দারা। বয়ানে অসঙ্গতি ও তথ্য লুকানোর কারণেই এদিন গ্রেফতার করা হয় তাপসকে।
আরও পড়ুন: চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে কোন প্রভাবশালীর যোগ? নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে মরিয়া CBI
advertisement
সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা তাপসকে প্রশ্ন করেন, "কুন্তলের থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কেন? জেনে বুঝে আপনার আত্মীয় পরিচিতকে বেনিয়ম করে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য কুন্তলের কাছে টাকা দিতে বলেছিলেন কেন?" তাপস উত্তরে বলেন, "চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ১৯ কোটি টাকা কুন্তলকে দিয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। এখন যাঁদের চাকরি হয়নি, তাঁরা টাকা চাইছেন।" তখনই সিবিআইয়ের প্রশ্ন, " তার মানে কি আপনিও একই অপরাধে অপরাধী?" তাপস বলেন, "আমি ইডি, সিবিআই-কে সহযোগিতা করেছি।" সিবিআই জানায়, "সিবিআই-কে তথ্য দেওয়ার মানে অপরাধ কমে যাওয়া নয়। আপনিও কি (তাপস) টাকা নিয়েছিলেন?" এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিতে পারেননি তাপস।
সিবিআই জানিয়েছে, বিভিন্ন বিএড কলেজে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে চাকরি করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাপসের বিরুদ্ধে। এ বিষয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাপস।
আরও পড়ুন: এজেন্ট চন্দনেরও ছিল সাব এজেন্ট! রাজ্যজুড়ে ছড়ানো চাকরি বিক্রি-র জাল
অল বেঙ্গল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাথা এই তাপস মণ্ডল। টেট দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। ইডি-র চার্জশিট-এ নামও রয়েছে তাপসের। সিবিআইয়ের দাবি, তাপসের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। একই অপরাধে অপরাধী তিনি। সেই কারণেই তাপসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এজেন্ট নীলাদ্রি ঘোষকেও গ্রেফতার করা হয় এদিন। সিবিআই সূত্রের খবর, তাপসকে দেওয়ার জন্য কুন্তলের কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন এই নীলাদ্রি, কিন্তু সেই টাকা তিনি তাপসকে দেননি। এমনকি, চাকরি না পাওয়া চাকরি প্রার্থীদেরকেও নীলাদ্রি টাকা ফেরাননি বলে অভিযোগ।
সোমবার ইডি-র হাতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষকে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নেবে। তার আগে তাপস ও নীলাদ্রির গ্রেফতারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এবার তাপস, কুন্তল ও নীলাদ্রিকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
ARPITA HAZRA