গ্রেফতার হওয়ার পরে তাপস দাবি করেন, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি তা জানেন না। যদিও সিবিআই সূত্রের খবর, ক্রমাগত ভাবে তদন্তকারীদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। তাছাড়া, তাপস, কুন্তল এবং রবিবার সিবিআইয়ের কাছে ধৃত আরেক এজেন্ট নীলাদ্রি ঘোষ, একত্রে একটি চক্র তৈরি করেছিল বলে মনে করছে সিবিআই।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ছে আতঙ্ক! এবার অ্যাডিনোভাইরাসে মৃত্যু কলকাতার আড়াই বছরের শিশুর
মানিকের গ্রেফতারির পর থেকেই ইডি- সিবিআইয়ের নজরে ছিল এই তাপস মণ্ডল। সিবিআই তো বটেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এর আগে বহু বার তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি। তাপসের বাড়ি ও অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনটি বিএড কলেজ ছাড়াও, তাপসের সংস্থা ‘মিনার্ভা এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ও ছিল আতসকাচের নীচে।
টেট দুর্নীতি কাণ্ডে মানিক ও মানিক পুত্র শৌভিকের যোগ সম্পর্কে জানতে প্রথমে তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তারপরেই বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক তথ্য। এই তাপসই প্রথম ফাঁস করেন, চাকরি বিক্রি করে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছে যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। পরে এই কুন্তল ঘোষকেও গ্রেফতার করে সিবিআই।
আরও পড়ুন: ফের ভাইরাস-আতঙ্ক! জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট! এক্কেবারে করোনার মতো, বাচ্চাদের সামলে..
এদিনও, সাংবাদিকদের সামনে কুন্তল ঘোষ দাবি করেন, তাপস মণ্ডল বাইরে থাকলে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। তাছাড়া, তাপস তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন বলেও ফের অভিযোগ করেন কুন্তল। এর মধ্যেই তাপসের গ্রেফতারি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে চন্দন মণ্ডল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
এদিন নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের অপর এক এজেন্ট নীলাদ্রি ঘোষকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এরা প্রত্যেকেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করত বলে অনুমান। পুরো বিষয়টিই চলত চেন সিস্টেমে। এই সিস্টেমের মাথায় বসেছিলেন কোনও একজন। সেই বড় মাথা-রই এবার নাগাল পেতে চাইছে ইডি-সিবিআই।