সূত্রের দাবি, কী কারণে সুজয়কে ইডির হাতে হস্তান্তর করা গেল না, সেই বিষয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের কাছ থেকে লিখিত তথ্য নিয়েছেন তাঁরা। অর্থাৎ, শুক্রবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল, কেন তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, এই বিষয়ে লিখিত আকারে ইডির কাছে তথ্য দিয়েছে এসএসকেএম। এবার সেই তথ্যকে হাতিয়ার করেই আগামী দিনে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, যেহেতু, পুরো বিষয় আদালতের নির্দেশ মেনে হচ্ছে, তাই এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের দেওয়া সুজয়ের মেডিক্যাল সংক্রান্ত তথ্য আদালতের কাছে পেশ করা হবে।
advertisement
এই ঘটনার পর ফের প্রশ্ন উঠেছে তদন্তের স্বার্থে কি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র আদৌ কণ্ঠস্বর দিতে প্রস্তুত? কারণ, শুক্রবার ইডি আধিকারিকরা এসএসকেএম হাসপাতালে যাওয়ার দু’দিন আগে তিনি কেমন আছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে নথি জমা পড়েছিল ইডি দফতরে। সূত্রের খবর, এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুধবার ইমেল করে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট-নথি পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ইডি-কে।
ইডি সূত্রে খবর, বুধবার এসএসকেএম সুপারকে সমস্ত নথি নিয়ে ইডি দফতরে আসতে বলা হয়েছিল। তিনি সশরীরে না এলেও ই-মেল করে সমস্ত নথি জমা দিয়েছিলেন। সেই নথি খতিয়ে দেখেই শুক্রবার ইডি কর্তারা সিদ্ধান্ত নেন,সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অভিযান চলে সুজয়ের বাড়িতে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল তার ব্যবহার করা মোবাইল। মিলেছিল টেলিফোনিক কথপোকথনের অডিও ক্লিপ। সেই অডিও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কি না তা খতিয়ে দেখতে চাইছে ইডি। যার জন্য মাস কয়েক আগে আদালতে ইডির তরফে আবেদন করা হয়েছিল তারা সুজয় ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চায়। সেই আবেদন মঞ্জুরও করে আদালত। কিন্তু বাধ সাধে কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা। দীর্ঘ কয়েক মাস যাবৎ তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে তাঁর জন্য।
ইডি আদালতে অভিযোগ করে, যতবার তাঁরা সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে গিয়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে সুজয় ভদ্রর শারীরিক পরিস্থিতি যা তাতে এই মূহুর্তে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ সম্ভব নয়। এই অভিযোগের সাথে ইডি কর্তার আদালতে আবেদন করেন তাঁরা ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে কালীঘাটের কাকুর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করতে চান, যাচাই করে দেখতে চান তিনি কণ্ঠস্বর দেওয়ার মতও অবস্থায় আছেন কি না। সেই আবেদনও মঞ্জুর হয়। এরপরই এসএসকেএম হাসপাতালের কাছে তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট ও সমস্ত নথি নিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুপারকে। তিনি না গেলেও সমস্ত নথি ইডি পেয়েছে ইমেল মারফত বলেই খবর। আর এই নথি পাওয়ার পাশাপাশি কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহের জন্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাথেও কথা বলেছে ইডি দফতর।