গত ১৬ জানুয়ারি মামলাটিতে প্রথম নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৬ বছরেও টেট-২০১৪ ফল না জানানোয় প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে হেনস্থীর অভিযোগ আনেন এক পরীক্ষার্থী। সেই মামলায় প্রথমে মানিক ভট্টাচার্যকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু, সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চেও একটি আবেদন জানান মানিক। ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হলেও তার শুনানি না হওয়ায় সিঙ্গেল বেঞ্চে ফের আবেদন করেন মানিকের আইনজীবী।
advertisement
আরও পড়ুন: এই প্রথম সিবিআই হেফাজতে তৃণমূল নেতা, টেট কাণ্ডে হেফাজতে তাপস-নীলাদ্রিও
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ একক বেঞ্চে মানিকের আইনজীবী জানান, ডিভিশন বেঞ্চে মামলা শুনানি না হওয়ায় আপাতত জরিমানার টাকা দেওয়ার নির্দেশ মুলতবি রাখুক একক বেঞ্চ। মানিকের এমন আবেদন ফিরিয়ে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ ছিল, "৭ দিনের মধ্যে জরিমানা টাকা দিতে হবে মানিককে। সেই টাকা শর্ট টার্ম ডিপোজিট হিসাবে জমা দিতে হবে হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল কাছে। ডিভিশন বেঞ্চে মামলার ফল মানিকের পক্ষে গেলে সুদ-সহ টাকা ফেরত পাবেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি।"
২০১৪ সালের টেট-এ অংশ নেন মালারানি পাল। কিন্তু ওই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না, পর্ষদ তা জানায়নি বলে অভিযোগ। মামলকারীর বক্তব্য, টেটের ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের দু'টি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এর ফলে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। এরপরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২০১৪-র পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন মায়ারানি পাল।
আরও পড়ুন: ফের ভাইরাস-আতঙ্ক! জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট! এক্কেবারে করোনার মতো, বাচ্চাদের সামলে..
মায়ারানি পালের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানান, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে'র মামলায় পর্যবেক্ষণ ছিল, "পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের শীর্ষপদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।"
Arnab Hazra