কুন্তল ঘোষকে আগেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। সোমবার প্রথমবার তাঁকে হেফাজতে নিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাকি ধৃত কৌশিক ঘোষ, শেখ আলি ইমাম, আবদুল খালেক, শহিদ ইমামকে দু’মাস পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্চের মধ্যেই লিঙ্ক করে নিন প্যান-আধার, না হলেই মহা বিপদ, কী ভাবে করবেন? রইল নিয়মকানুন
advertisement
গত রবিবার মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল এবং অভিযুক্ত এজেন্ট নীলাদ্রি ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। সকাল ১১ টা থেকে টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে অবশেষে বিকেল নাগাদ গ্রেফতার করা হয় তাপস এবং নীলাদ্রি দুজনকেই।
গ্রেফতার হওয়ার পরে তাপস দাবি করেন, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি তা জানেন না। যদিও সিবিআই সূত্রের খবর, ক্রমাগত ভাবে তদন্তকারীদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
তাছাড়া, তাপস, কুন্তল এবং রবিবার সিবিআইয়ের কাছে ধৃত আরেক এজেন্ট নীলাদ্রি ঘোষ, একত্রে একটি চক্র তৈরি করেছিল বলে মনে করছে সিবিআই। কুন্তলকে হেফাজতে নেওয়ার পরে তাপস, কুন্তল এবং নীলাদ্রিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করারও সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে দুর্নীতি কাণ্ডের আরও বড় কোনও মাথার খোঁজ পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: অ্যাডিনোভাইরাস থেকে সাবধান! রোগ থেকে বাঁচাতে কী কী খাওয়াবেন বাচ্চাকে? জেনে রাখুন
মানিকের গ্রেফতারির পর থেকেই ইডি- সিবিআইয়ের নজরে ছিল এই তাপস মণ্ডল। সিবিআই তো বটেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এর আগে বহু বার তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি। তাপসের বাড়ি ও অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনটি বিএড কলেজ ছাড়াও, তাপসের সংস্থা ‘মিনার্ভা এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ও ছিল আতসকাচের নীচে।
টেট দুর্নীতি কাণ্ডে মানিক ও মানিক পুত্র শৌভিকের যোগ সম্পর্কে জানতে প্রথমে তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তারপরেই বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক তথ্য। ইডি-র চার্জশিটে মানিক ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে টেট দুর্নীতি কাণ্ডে উঠে আসে তাপসের নামও।
পরে এই তাপসই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিতে এসে, প্রথম ফাঁস করেন, চাকরি বিক্রি করে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছে যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। পরে এই কুন্তল ঘোষকেও গ্রেফতার করে সিবিআই।