চিট ফান্ড সংস্থা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। ২০১২ সাল থেকে জমি কিনতে থাকেন গোপাল। অর্থাৎ, জমি দিয়ে কালো টাকা সাদা করার শুরু সেখান থেকেই। তবে, সেই কারসাজি বেশিদিন পুলিশের চোখের আড়াল থাকেনি। এর কিছুদিন পরেই গ্রেফতার হন গোপাল।
আরও পড়ুন: নিমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন শিল্পী, বদলে শুভাপ্রসন্নের বিরুদ্ধে খাল চুরির অভিযোগ তুললেন কুণাল
advertisement
এই ঘটনার বছর খানেক পরে ২০১৪ সাল নাগাদ তাপস মণ্ডলের সঙ্গে পরিচয় হয় গোপালের। এরপরেই চিট ফান্ডের ব্যবসা থেকে সরে আসেন। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই সময় গোপাল ঠিক করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরে কলেজ ( বি এড, ডি এল এড ) তৈরি করবেন। সেই কলেজ তৈরির জন্যেই তাপস মণ্ডলের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়েছিলেন তিনি। কলেজ তৈরির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে গোপালকে নাকি আট লক্ষ টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু, পরে নানা কারণে সেই কলেজ তৈরি করে উঠতে পারেননি গোপাল। তখন কর্মহীন গোপালকে নিজের মহিষবাথানের অফিসে কাজের সুযোগ দেন তাপস। তারপর থেকে সেখানে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া টাকার হিসেব রাখাই পেশা হয়ে যায় গোপালের।
শুধু তাই নয়, গোপাল নিজেও জনা চারেক চাকরি প্রার্থীকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাপস মণ্ডলের কাছে। তাপস সেই কাজ না করে দেওয়ায় কুন্তলের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন গোপাল।
তাপস-কুন্তলের এই নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের আনাচকানাচের হদিস পেতে এবার তাই গোপাল দলপতির সম্পত্তির উপরে বিশেষ নজর দিচ্ছে সিবিআই। তাহলে কি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকাতেই গোপাল দলপতির এই বিপুল সম্পত্তি? ২৩ একর জমি কী করেই বা কিনেছিলেন গোপাল? কোথা থেকে এসেছিল এত কোটি কোটি টাকা!
সিবিআই সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় গোপালের প্রায় ২৪ টি জমির খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা। বেশিরভাগ জমি গোপালের স্ত্রী হৈমন্তী এবং তাঁর কোম্পানির নামে।
এত জমি কেনার টাকা কোথা থেকে পেয়েছিলেন গোপাল? সূত্রের খবর, সেই প্রশ্নও গোপালকে জিজ্ঞেস করেছিল সিবিআই। উত্তরে যথেষ্ট অসঙ্গতি মিলেছে। এছাড়াও কিছু জমি বিক্রির টাকাও রয়েছে। সেই টাকা কোথায় গেল? তা-ও খোঁজ করে দেখছেন গোয়েন্দারা। তাহলে কি কুন্তলের কথাই সত্যি? গোপাল দলপতির কাছেই গিয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা?
ইতিমধ্যেই গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গাঙ্গুলির মুম্বইয়ের সংস্থার অ্যাকাউন্টে ৬৮ লক্ষ টাকার হদিস পেয়েছেন গোয়েন্দারা। আরেকটি অ্যাকাউন্টেও ১২ লক্ষ টাকা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ARPITA HAZRA