প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচী চক্রবর্তীকে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টানা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে চঞ্চল্যকর তথ্য পেল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্যের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা সচিব রত্না বাগচী চক্রবর্তী। রত্না ইডি অধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, মানিক ভট্টাচাৰ্যই সব জানতেন। পুরো ডিলটাই ছিল রহস্যে মোড়া। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি কে বা কারা চালায়, তা একমাত্র মানিকবাবু জানেন। রত্না জিজ্ঞেসবাদে জানান, মানিক ভট্টাচাৰ্য নির্দেশ দিতেন, তিনিই দেখা করতেন। "আমরা জানতাম কনফিডেন্সিয়াল প্রসেসর বলে কাউকে মেইল করা হচ্ছে ও মেইল আসছে। এর বাইরে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামে ওই সংস্থার ব্যাপারে আমরা কিছু জানতাম না।" ইডির জিজ্ঞাসাবাদে দাবি রত্নার। কার্যত দায় ঝেড়ে ফেলেন রত্না।
advertisement
সব দায় তিনি মানিকের উপর চাপান বলে ইডি সূত্রে খবর। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় SSC-র নাইসার মতোই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চাকরিপ্রার্থীদের OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির উপর। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল এই সংস্থার নাম। এই সংস্থা সম্পর্কে মঙ্গলবার ইডি রত্না বাগচী চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দীর্ঘক্ষণ।
আরও পড়ুন: ফের দিল্লি 'দরবার' এড়ালেন অনুব্রত-কন্যা! যা কারণ জানালেন, অস্বস্তিতে পড়ল ইডি-ও
প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল মানিক ভট্টাচার্যকে এজলাসে ডেকে পাঠিয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় মানিক জানান, সংস্থার নাম শুনলেও, তিনি নিশ্চিত নন। এরপর এবার ইডির আধিকারিকরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন শিক্ষা সচিব রত্না বাগচী চক্রবর্তীকে মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। তাঁকে টানা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। রাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পর্ষদ সভাপতি মানিকের ভূমিকা ও তার কার্যকলাপ নিয়ে জানতে চায় ইডি। প্রাথমিকের OMR শিটের মূল্যায়ণের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় এন্ড কোম্পানি। সেই বিষয়েও রত্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই চঞ্চল্যকর তথ্য পায় ইডি।