এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও তিন অভিযুক্ত তাপস-কুন্তল-শান্তনু এই ত্রয়ীর চক্রে জড়িত ছিলেন চন্দ্রনাথ সিনহা। তিন জনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। তদন্তে উঠে এসেছে কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ১৫৯ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর তালিকা এসেছিল চন্দ্রনাথের সূত্র ধরেই। এই সমস্ত প্রার্থীদের কাছে থেকে নেওয়া হয়েছে সবচেয়ে কম ৮ লক্ষ ও সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা।
advertisement
দুর্নীতিতে যে আর্থিক লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে ১২.৭২ কোটি চন্দ্রনাথ সিনহার হাত ধরেই এসেছে বলে উল্লেখ চার্জশিটে। ইডি চার্জশিটে চন্দ্রনাথ সিনহা, তাঁর স্ত্রী ও ছেলেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও তুলে ধরেছে। তার বোলপুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৪১ লক্ষ টাকা কথা উল্লেখ করে ইডি চার্জশিট দাবি করেছে এই টাকার পুরো হিসেব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন চন্দ্রনাথ।
ইডি আরও দাবি, বাজেয়াপ্ত ৪১ লক্ষ নগদ টাকার মধ্যে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা চন্দ্রনাথ ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা ব্যবসার টাকা, কিন্তু বাকি টাকার উৎস কী, তার কোনও সদুত্তর কেউই দিতে পারেননি। তাপস মণ্ডলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল চন্দ্রনাথ সিনহার। যখনই কলকাতা আসতেন চন্দ্রনাথ, তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন তাপস। দাবি ইডির। কলেজ স্ট্রিটে প্রাথমিক শিক্ষক ট্রেনিং কলেজ সংগঠনের অনুষ্ঠানেও চন্দ্রনাথ উপস্থিত ছিলেন সেই বিষয়টি উল্লেখ করে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার কথা বলা হয়েছে।
চার্জশিটে সুতির একটি প্রাথমিক শিক্ষক ট্রেনিং কলেজ ও তার মালিক পিপুলউদ্দিল শেখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ইডি দাবি করেছে, এই কলেজ মালিক বোলপুরের বাসিন্দা, সুতিতে তাঁর কলেজ আছে। এই কলেজে যারা ট্রেনিং নিতেন তাঁদের চাকরির জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছিল তাপসের কাছে। ২২ জনের মধ্যে তিন জন অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করা হয়েছিল। ইডি দাবি করেছে, এই কলেজ মালিকের সঙ্গে তাপসের সম্পর্ক ২০০২-২০০৩ সাল থেকে। এই কলেজ মালিকের হাত দিয়েই ১৫৯ জনের নামের তালিকা তাপসের কাছে পাঠিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ। যা তাপস মণ্ডলের দেওয়া বয়ানে রয়েছে।