১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছিলেন এই রাজ্যের জন প্রতিনিধিরা। সকাল দশটায় ভোট গ্রহণ শুরু হলে প্রথমে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন বিজেপির বিধায়করা। এরপরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও সাংসদরা লাইনে দাঁড়ালেন। কিন্তু ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া অনেক ধীর গতিতে চলছিল বলে অভিযোগ করছিলেন অনেকেই। অনেকে আবার পুরো বিষয়টা উপভোগ করছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: 'যে কোনওদিন মারা যাবে ছাত্র-শিক্ষকরা', জিরাটে স্কুল বন্ধের হুঁশিয়ারি হাই কোর্টের!
তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া, লাভলি মৈত্র, অদিতি মুন্সিদের বক্তব্য ছিল, "একটু সময় লাগছে বটে কিন্তু এটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পেরে নিজেদের খুব ভালো লাগছে।" আবার তৃণমূলের দিনহাটা কেন্দ্রের বিধায়ক উদয়ন গুহ মজা করে বলেন, "অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি। সাধারণ নির্বাচনে মানুষ যদি এরকম দাঁড়িয়ে থাকে আর সেখানে যদি কোনও নেতা উপস্থিত থাকে বলা হবে ভোটে বেনিয়ম হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: বিন্দু বিন্দু দিয়ে সিন্ধু গড়ে ফেলল বামেরা, জনসংযোগ কৌটোয় ১ কোটি পার!
নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানান, "আসলে ইভিএমে ভোট দেওয়ায় অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। যেহেতু ইভিএমে ভোট গ্রহন প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত হয় তাই ব্যালট পেপারে ভোটটা অনেক সময় সাপেক্ষ মনে হচ্ছে।" যাই হোক দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে জনপ্রতিনিধিরা যখন ক্লান্ত। কেউ এদিক ওদিক সোফায় গা এলিয়ে একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন। সেই সময় চিট বাদাম বিতরণ শুরু হলো। আবার সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে সেই চিট বাদাম সংগ্রহ করে খেতে শুরু করলেন। দৃশ্যতই সবাইকে খুবই খুশি মনে হচ্ছিল। কেউ কেউ কাঁচা বাদামের গানের আলোচনা শুরু করে দিলেন।
বিধায়ক ইদ্রিস আলি বলেন, "এই চিট বাদাম খেয়ে অনেকটা বল পাচ্ছি। আর এটা খেতেও খুবই ভালো। সব চাইতে বড় কথা এই খাবারটা একদম আমাদের নিজেদের খাবার। আমাদের দেশের খাবারে এমন গুণ আছে, যা বিদেশি খাবারে নেই। কিন্তু আজকাল মানুষ এই সব খাবারই খেতে পছন্দ করে না। আমি বলব নিজেদের খাবার খাও কম দামে স্বাস্থ্যকর খাবার।" কাঁচা বাদামের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "কাঁচা বাদাম গানটা খুব জনপ্রিয় হয়েছে। আমি শুনেছি। মজার গান। কিন্তু আমি বলব চিট বাদামটা খেতেও অনেক মজার।"