কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রাষ্ট্রপতির চপার প্রথমে নামে রেসকোর্সে। সেখান থেকে গাড়িতে তিনি যান এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাড়ি নেতাজি ভবনে। সেখানে নেতাজির স্মৃতিবিজড়িত ঘর পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি মূর্মূ। কারপর নেতাজি ভবন থেকেই সোজা পৌঁছে যান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান জোড়াসাঁকোয়।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের কালো প্রতিবাদে হঠাৎই হাজির তৃণমূল, মল্লিকার্জুন খাড়্গের বৈঠকে গেলেন ২ সাংসদ
advertisement
সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি বা মহর্ষি ভবন ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ। এদিন মহর্ষি ভবনে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান, রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা। ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও। তবে এদিন রাষ্ট্রপতিকে মহর্ষি ভবন ঘুরিয়ে দেখান রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্মাল্য নারায়ণ চক্রবর্তী।
প্রথমেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম কক্ষে যান রাষ্ট্রপতি৷ তারপরে যান রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ কক্ষে৷ এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিচিত্রা-য়। এখানেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত নানা আসবাবপত্র রয়েছে। সেই সব দেখে অবাক হয়ে যান রাষ্ট্রপতি৷ সেই সমস্ত আসবাব নিয়ে কৌতুহলও প্রকাশ করেন। কবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি তৈরি হয়েছিল, কী ভাবে তার রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় সেই সবও আগ্রহভরে জানতে চান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ।
আরও পড়ুন: কৌস্তভ বাগচী মামলায় পুলিশ কমিশনারের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট আদালত, এবার হলফনামা তলব
সবশেষে, এদিন ভিজিটরস বুকে রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, "আমি এখানে এসে খুব খুশি হয়েছি। এই জায়গা আমায় মুগ্ধ করেছে।" রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, তাঁদের তরফে এদিন রাষ্ট্রপতিকে চিত্রকর রবীন্দ্রনাথ ছবি ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত একাধিক পুস্তক উপহার দেওয়া হয়েছে।
নেতাজি ভবন এবং জোড়াসাঁকো ঘুরে রাজভবনে যান রাষ্ট্রপতি৷ সোমবার সেখানেই তিনি মধ্যাহ্নভোজ করবেন বলে জানা গিয়েছে৷