এই নিয়ে বৃহস্পতিবার বারবার সংঘর্ষে জড়ায় দুই ছাত্র সংগঠন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে আহত হন বেশ কয়েকজন ছাত্র -ছাত্রী। কলেজ স্ট্রিট সংলগ্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়ায় দুই ছাত্র সংগঠন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর বেশ কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় এসএফআইয়ের এক ছাত্রকে।
advertisement
আরও পড়ুন - Vice President Election 2022: জগদীপ ধনখড়কে ভালই চেনা, কিন্তু জানেন কি তাঁর জীবনের ইতিহাস
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফেও পাল্টা অভিযোগ করা হয়, তাদের কর্মী সমর্থকদেরকেও মারধর করেছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সমর্থকরা। এই মর্মে স্থানীয় জোড়াসাঁকো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্ররা। শুক্রবারও কাটেনি এই ঘটনার রেশ। দুপুরবেলা থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে ফের পোস্টারিং করা শুরু করতেই উত্তপ্ত হতে শুরু করে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি।
এসএফআইয়ের অভিযোগ এই সময় প্রচুর বহিরাগত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী সমর্থক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গেট কার্যত ঘেরাও করে রাখে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সন্ধ্যেবেলা থেকেই ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। SFI এর অভিযোগ ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করতেই তাদেরকে কার্যত চিহ্নিত করে মারধর শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছেলেরা। তবে তারা প্রত্যেকেই বহিরাগত ছিল এমনটাই তাদের অভিযোগ। এমজি রোডের উপর কার্যত ফেলে মারধর করা হয় এসএফআইয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "শুধুমাত্র এস এফ আই নয় প্রেসিডেন্সির সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। তৃণমূলকে মনে রাখতে হবে এটা ২০১১ সাল নয়। এই এসএফআই পাল্টা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে৷ "
আরও পড়ুন - Hair Care Tips: ‘‘মাথার ঘন চুল যখন মরুভূমি...’’ রান্নাঘরের চাল ধোয়া জল করবে কামাল
এসএফআইয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী জানান, " গতকাল বিকেল সাড়ে ৫ টার মধ্যে আমরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাই, তারপরের ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো যোগ নেই। এটা এসএফআই এর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল ৷"
Sanhyik Ghosh