গঙ্গার জলে ভেসে রাসায়নিক তুলোর পোড়া অংশ। বস্তা বস্তা রাসায়নিক তুলো পুড়ছে নদীর জলেই। তুলো পোড়াতে ঢালা হয়েছে পেট্রোল-ডিজেল। পোড়া তেল আর পোড়া তুলোয় গঙ্গায় মিশছে দূষণের বিষ।
হাওড়ার বাঁধাঘাট থেকে বেলুড় পর্যন্ত ঘুসুড়ির জেএন মুখার্জি রোডে একাধিক জুটমিল আছে। অভিযোগ, ওই জুটমিলগুলি থেকেই রাসায়নিক তুলো পুড়িয়ে ফেলে দেওয়া হয় গঙ্গায়। কী এই রাসায়নিক তুলো?
advertisement
- প্লাস্টিকের দানা ও রাসায়নিক মিশিয়ে এই তুলো তৈরি হয়
- বোতল বা পলিথিন গলিয়ে তৈরি হয় রাসায়নিক তুলো
- শিমূল তুলোর থেকে এই তুলো টেকসই হওয়ায় চাহিদা বেশি
- রাসায়নিক তুলোর দাম কম, তাই বিক্রি করলে লাভ বেশি
- অনেক সময় বালিশ বা জাজিমে শিমূল তুলোর সঙ্গে রাসায়নিক তুলো মেশানো হয়
স্থানীয়দের দাবি, বেশি মুনাফার লোভে অনেক সময়ই অতিরিক্ত তুলো রাখে জুটমিলগুলো। বিমা সংস্থা ও আয়কর দফতরের তল্লাশিতে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তখনই রাসায়নিক তুলো পুড়িয়ে ফেলা হয় গঙ্গায়। এই তুলো পুড়ে যায় না, দলা পাকিয়ে ভাসতে থাকে গঙ্গায়।
সমুদ্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, পোড়া তুলোর বিষে গঙ্গায় প্রাণিজগতের ভয়ঙ্কর ক্ষতি হবে। নিউজ18 বাংলার খবরের জেরে পদক্ষেপ করে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ গঙ্গার ঘাট থেকে নমুনা সংগ্রহ করে।
কয়েকদিন আগেই ওই এলাকায় একটি গোডাউনে আগুন লাগে। স্থানীয়দের অনুমান, সেদিন যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, তার থেকেও বেশি ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়ে বিমা সংস্থার থেকে টাকা বেশি টাকা আদায়েই শনিবার রাতে এই আগুন লাগানো হয়েছে।