বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের পূর্ব সীমান্ত, বিশেষ করে প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির পরিস্থিতি এই মুহূর্তে বেশ উত্তাল। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন থেকে শুরু করে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অশান্তির খবর প্রায়শই শিরোনামে আসছে। অন্যদিকে, নেপালেও চলছে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ।
advertisement
এমন পরিস্থিতিতে ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত সুরক্ষার ওপর কেন্দ্রের বিশেষ নজর রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড সূত্রে খবর, ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়ামে যৌথবাহিনীর কমান্ডারদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকেই যোগ দিতে ১৫ তারিখে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। ইস্টার্ন কমান্ডের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিমাংশু তিওয়ারি জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানে মোদি, রাজনাথ সিং ও অজিত ডোভাল ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান এবং প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং।
এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হল উত্তর-পূর্বের সীমান্ত সুরক্ষা। আরও জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর এই সফরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড সূত্রে খবর, ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়ামে যৌথবাহিনীর কমান্ডারদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকেই যোগ দিতে ১৫ তারিখে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বা বাড়ির আশপাশে থাকলে এখনই সরিয়ে ফেলুন! এই ৫ জিনিসই ‘ডেকে আনে’ সাপকে, ঘরে ঢুকে আসবে বিষধর
দিল্লি থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনকে প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে জানানো হয়েছে। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কলকাতার মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন এবং জনসভা করার পাশাপাশি তার নদিয়া সফরের কথা ছিল, যা পরবর্তীকালে বাতিল হয়। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘন ঘন সফর রাজনৈতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফোর্ট উইলিয়ামের এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই শহরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।