মানস মাইতি, বাড়ি এগরা থানার রাসন গ্রামের,মহাপাত্র পাড়ায়। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়ি থেকে দীঘায় যাওয়ার পথে পানিপারুল নামে একটি জায়গায় চার চাকার সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। সেই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন মানস। ওড়িশার এএইমসের চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে, তাঁকে ওড়িশার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেই নার্সিংহোমে মোট ৬ লক্ষ টাকা নেয়। মা ভারতী মাইতি জানান, ‘‘জমি বিক্রি করে এই টাকা খরচ করেছি। আর কোনও টাকা নেই আমাদের কাছে। ছেলেকে বাঁচানোর জন্যই পড়ে রয়েছি কলকাতায়। এখনও পর্যন্ত ডাক্তার শুধু পরীক্ষা লিখে দিচ্ছে, চিকিৎসা কিছু হয়নি। ভর্তি তো দূরের কথা।’’
advertisement
আরও পড়ুন - অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কতজন নাগরিক মৃত, মলদ্বীপের ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারত
তিনি আরও জানান ,তাঁর সঙ্গে থাকা কাপড়, টাকা সব চুরি হয়ে গেছে।নিজেদের খাবার মত সেরকম কোনও সামর্থ্য নেই এখন। এক আত্মীয় কিছু কিছু করে জুগিয়ে যাচ্ছেন। ওড়িশার হাসপাতাল থেকে মাথা অপারেশনের পর মাথার খুলিটা পেটের মধ্যে রেখে দিয়েছে ডাক্তাররা।
আরও পড়ুন - Hurricane Nicole: ১২৫ কিমি গতিতে ঝড় আছড়ে পড়ল, তোলপাড় আবহাওয়া, রইল লেটেস্ট আপডেট
ফের অপারেশন করে মাথার খুলিটা যথাস্থানে লাগাতে হবে। অন্যদিকে কোমরের দিকে হাড় ভেঙে গেছে তার। ছেলে মানস কোনভাবে দাঁড়াতে পারছে না,হাঁটতেও পারছে না। অসহায় গ্রামের মানুষ, ছেলেকে নিয়ে এসএসকেএম এর এমার্জেন্সির পাশেই দিনরাত অপেক্ষা করছেন।
বহু মানুষকে অনুরোধ করেও ছেলের পূর্ণ চিকিৎসা কিংবা ভর্তির ব্যবস্থা করতে পারেনি।- কথা বলতে গেলে দুজনই কেঁদে ফেলছেন। নিজেদের সমস্ত কিছু চুরির ব্যাপার পাশেই পুলিশ ফাঁড়িতে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
একদিকে ছেলেকে বাঁচানোর চিন্তা, অন্যদিকে চোরের উপদ্রব।সবেতেই দুজনে নিজেদের কপালকেই দুষছেন। মাঝে মাঝে উঠে গিয়ে উপায় খুঁজছেন কিভাবে ছেলেকে বাঁচিয়ে বাড়ি ফেরানো যায়। তবে সমস্ত জায়গা থেকেই ফেরত আসতে হচ্ছে তাদের।
SHANKU SANTRA