সিবিআই সূত্রে খবর, প্রসন্ন রায়ের কর্মচারী প্রদীপ সিং ওরফে ছোট্টু।প্রসন্নর 'আইডিয়াল কার রেন্টাল' সংস্থায় কম্পিউটারের কাজ করত প্রদীপ।'আইডিয়াল কার রেন্টাল' বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে গাড়ি ভাড়া দেয়।পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের যখন গাড়ি ভাড়ার প্রয়োজন হতো, তখন এই ট্রাভেল সংস্থা থেকে গাড়ি ভাড়া করত। সেই সুবাদে প্রদীপ স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে অনায়াসে যাতায়াত করত।বেশিরভাগ সময় শান্তি প্রসাদ সিনহা ,প্রদীপকে ফোন করে গাড়ি ভাড়া করত। যার জন্যই শান্তি প্রসাদ সিনহার ফোন বুকে প্রদীপের নাম ছোট্টু ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: রবিবার থাকবেন একেবারে অন্য মেজাজে, প্ল্যান জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ!
অভিযোগ, এই প্রদীপ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় প্রসন্নর। অভিযোগ প্রদীপ সিং অকৃতকার্য চাকরি পরীক্ষার্থীদের তালিকা বানাত।এছাড়াও প্রসন্ন রায় ওরফে ঝার ২০১২ এর পর থেকেই হোটেল ব্যবসায় রমরমা হয়।আর টাকা এসেছিল নাকি দুর্নীতির পথ ধরে। প্রসন্ন রায় পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করে জুট টেকনোলজির ওপর ইঞ্জিনিয়ারিং করেছিল। তার আত্মীয়দের দাবি ,তিনি ২০০২ থেকে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তারপর থকেই এই ব্যবসা বাড়ে। বাবা একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাড়ির উপরে উল্টে গেল লরি, খিদিরপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত তৃণমূল কাউন্সিলরের পুত্র
মূলত প্রসন্ন এবং তার পরিবার প্রত্যেকেই পূর্বে বিহারের বাসিন্দা ছিল। এদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়তা কিংবা পারিবারিক সম্পর্ক নেই! দাবী আত্মীয়দের। সিবিআই আলিপুর আদালতে দাবি করে, এই প্রসন্ন বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে। তাকে তারা নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। দু তরফের সম্পূর্ণ সাওয়াল জবাব শোনার পর আলিপুর আদালত,তার দু দিনের সিবিআই হেফাজত দেয়। প্রদীপকে আবার ২৯ অগাস্ট আলিপুর সিবিআই কোর্টে তোলার নির্দেশ দেয় আলিপুর চতুর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রান্তিক ভট্টাচার্য।