যেমন 'লাভ' নামে একজন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মানিক ভট্টাচার্যের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। প্রথম অভিযোগ ছিল - Dada manik bhattacharya is taking money ja ta bhabe. তারপর পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি তার কাছে অভিযোগ আকারে চায়। পরে আবার মেসেজ করেন - Abar o taka niye korbey, abar case hobey. abar party khasta hobe. please eta dekhun, love.
advertisement
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই মেসেজ মানিক ভট্টাচার্যকে পাঠিয়ে দেন বলে অভিযোগ।পরে ওই' লাভ' যখন যোগাযোগ করেন ,পার্থ বাবু তাকে জানিয়েছিল, ওটি প্রাইমারি বোর্ডের বিষয়। উনি কিছু করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: এনআইএ-ইডি'র যৌথ হানা কলকাতা সহ গোটা দেশে, নিশানায় পিএফআই! তোলপাড়
মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল,
১.নদীয়া জেলার বেসরকারি ডিএলএড ও বিএড কলেজ ছাত্রদের কাছ থেকে পাশ করিয়ে দেওয়া ও কলেজের রিনিউয়ের জন্য ছাত্র প্রতি ৫০০ টাকা করে নিচ্ছিলেন।
২.টেট-এর রেজাল্টের তালিকা নিয়ে গিয়ে ,ইন্টারভিউয়ের নম্বর না বসিয়ে, কোনও সিল ছাড়াই সেই দেখিয়ে টাকা তুলছিলেন।
ইডি আধিকারিকেরা পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের মোবাইল ঘেঁটে দেখেছিলেন।মানিক ভট্টাচার্য্য ও মানিক ভট্টাচার্জি ল' নামে দুটি নাম সেভ ছিল। ইডির উত্তরে পার্থ বাবু জানিয়েছিলেন, যেহেতু লেজিসলেটিভ এসেম্বলির সদস্য, তাই তিনি ল ' লিখেছেন।
আরও পড়ুন: যেন মুখে অ্যাসিড ঢুকিয়ে হত্যা, বাড়িতেই প্রবীণ দম্পতির দেহ উদ্ধারে আঁতকে উঠল বহরমপুর
পার্থর মোবাইল ফোন ঘেঁটে ইডি বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার করেছে। টেট-এর নিয়োগের আলোচনা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২৮.১২.২০ তারিখে ১৮:৫৬ মিনিটে সময় চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপ করেছিলেন। ২৯.১২.২০২০ তারিখে রাত ০০:০৫ মিনিটে উত্তর দিয়ে ১০ মিনিট সময় দিয়েছিলেন পার্থবাবু।
সেই মিটিংয়ের পরে ১০.০১.২০২১ তারিখে মানিক ভট্টাচার্য পার্থ বাবুকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিলেন, সারা বাংলায় ইন্টারভিউ শুরু হয়ে গেছে। পার্থ বাবু লিখেছিলেন, Tks. তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সব কিছুই জানতেন বলে দাবি ইডি-র।