আদালতে তোলার সময়ই পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ”একটা কবিতা বলব।” এরপরই পুলিশের গাড়িতে নামতে নামতে তিনি কবিগুরুর লেখা ‘বিম্ববতী’ কবিতার পংক্তি আওড়ান। বলেন, ”মসী লেপে দিল তবু ছবি ঢাকিল না, অগ্নি দিল তবু গলিল না সোনা।” যদিও হঠাৎ করেই পঁচিশে বৈশাখের প্রাক্কালে কেন এই কবিতা আওড়ালেন পার্থবাবু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মুখে এহেন কবিতা ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অর্থাৎ এমনই খাঁটি সোনা তিনি যে তাঁকে অগ্নিস্পর্শেও গলানো যাবে না, সম্ভবত সেটাই বলার চেষ্টা করেছেন বলে ধারণা অনেকের।
advertisement
আরও পড়ুন: সে কী! সব তৈরি, তবু যাদবপুরে ভেঙে ফেলা হবে ৫ তলা বিল্ডিং! কারণ শুনলে আঁতকে উঠবেন
যদিও অনেকেরই প্রশ্ন, কাদের বিরুদ্ধে মসী ও অগ্নি দেওয়ার অভিযোগ করছেন পার্থ? তবে কি দলেরই একাংশ রয়েছে এর পিছনে? পার্থর কবিতা পাঠ উত্তরের থেকে বেশি প্রশ্ন রেখে গেল বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের আগে বড় অঘটন! কুলপিতে বিরাট ক্ষত তৃণমূলে, ঘর ভরল বিজেপি
এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ‘নব-জোয়ার’ কর্মসূচি সমন্ধে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে চেঁচিয়ে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জেলবন্দি পার্থ বলেন, ‘অভিষেকের নবজোয়ার ১০০ শতাংশ সফল।’ এখানেই না থেমে থেকে তিনি বলেন, ‘অভিষেকের নবজোয়ার আসলে জনজোয়ার।’ দিনকয়েক আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে মেলা বিপুল টাকার উৎস নিয়ে। আর ঠিক তখনই যা জবাব দেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, তাতে চমকে যান উপস্থিত সকলেই। অর্পিতার ফ্ল্যাটে মেলা সেই টাকার উৎস নিয়ে পার্থবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জবাব দেন, ”আপনারা খোঁজ নিন।” আপাতভাবে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু না বললেও পার্থবাবুর এই তিন শব্দের উত্তর নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। যেমন শোরগোল পড়ল সোমবারও।