গতকালই আদালতে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকেই যাবতীয় দায় ঠেলে দিয়েছিলেন৷ এ দিন আদালতে পেশ করার সময় সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনও উত্তর দেননি পার্থ৷ আদালতে পার্থর জামিনের আবেদনও করেননি তাঁর আইনজীবী৷ তবে পার্থর যাতে যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দেন বিচারক, সেই আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী৷ দাবি করেন, এখনও পার্থর পা ফোলা রয়েছে৷
advertisement
এই শুনানির প্রায় শেষ দিকে আদালত কক্ষ থেকে বেরনোর সময় বিচারকের কাছে কাতর কণ্ঠে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘স্যর, আমি একটা কথা বলতে চাই। প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার একটি হাসপাতালে লিখে দিয়েছেন। হাসপাতাল দশ দিন পর রিপোর্ট ব্যাক করছে। একজন আক্রান্ত হবে তার দশদিন পর এসে চিকিৎসক দেখবেন। দেখুন একটু।’
জবাবে বিচারক বলেন, ‘আমি দেখছি ব্যাপারটা। আপনি প্রথম আবেদন জানালেন৷’ এ কথা শুনেই পার্থ বলেন, ‘আর বিচার চাই না। ৩০০ দিন হয়ে গিয়েছে। কি বিচার হচ্ছে বুঝেছি। আপনি আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। পাঁচবার যে জায়গা থেকে জিতেছি, তাঁরা কি আমায় চোর মনে করে? অনেক দুঃখ আছে, কোথাও প্রকাশ করার জায়গা নেই। আমার পা ফুলে গিয়েছে। সেটা কি কোথাও লেখা হয়? সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার আমার চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করেছিলেন। স্যর, বিচারটা একটু তাড়াতাড়ি করুন। মরার আগে যেন দেখে যেতে পারি।’
আদালত থেকে বেরনোর সময় পার্থকে চিকিৎসার অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পার্থ আক্ষেপের সুরে বলেন, সেটাই দুর্ভাগ্যের! প্রদীপের নীচেই অন্ধকার৷ তার পরেও অবশ্য পার্থ জানিয়ে দেন, তিনি সরকারের উপরে আস্থা রাখছেন।
এর পাশাপাশি এ দিন কুড়মিদের আন্দোলন নিয়েও নিজের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দিয়েছেন পার্থ। কুড়মিদের উপর দমন পীড়ন না করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বাকি অভিযুক্তদের এ দিন ১৩ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক৷