রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও (Partha Chatterjee shares memories with Subrata Mukherjee) সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি চারণা করতে গিয়ে ছাত্র রাজনীতির সময়ে ফিরে যান৷ কয়েক দশক আগের স্মৃতি হাতড়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) বলেন, 'সুব্রতদাকে নিয়ে আজকে কিছু বলতে হবে আর তাঁর সিট ফাঁকা ভাবা যায় না। কোনওদিন ভাবিনি রাজনীতি করব। নাকতলায় পাড়ায় আড্ডা দিচ্ছি। শোভনদেবদা টাক্সি থেকে নেমে এসে বলল ছাত্র পরিষদ করবি?' সেই সূত্রেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ স্মৃতি চারণা করতে গিয়ে প্রিয়- সুব্রত জুটির কথাও উঠে আসে শিল্পমন্ত্রীর কথায়৷ তিনি বলেন, 'সুব্রতদা তখন একডালিয়ায় জীবনদার রেশন দোকানের উপরে থাকতেন৷ আমার দুটো জিনিস চোখের সামনে ভাসে৷ প্রিয়দা এবং সুব্রতদা দু'জনে বসুশ্রী সিনেমায় আসতেন আড্ডা দিতে মন্টুদার ওখানে। বসন্ত কেবিন থেকে খাবার আসত।'
advertisement
আরও পড়ুন: 'চলে গেলেন আমাদের উত্তমকুমার', স্মৃতি-গল্পে-অভিযানে বিধানসভায় সুব্রত-স্মরণ
রাজনৈতিক জীবনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) অবদানের কথা স্বীকার করে নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ' প্রিয়দা-সুব্রতদা কখন যে কি করবে কেউ জানত না। কত কথা মনে পড়ছে। জীবনের প্রতি পদক্ষেপে ছাত্র আন্দোলনে সুব্রতদার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলাম। যা বলত তাই শুনতাম। অনেক কথা হয়তো সুব্রতদাকে বলতে পারিনি। বৌদিকে বলেছি। এমন বৌদি পাওয়া দুষ্কর। বৌদি ভাল থাকুক৷'
আরও পড়ুন: 'বাবা নেই শুনে বলেছিলেন, "আমি তো আছি"', ধবধবে ধুতি-পাঞ্জাবির 'সুব্রত দা'র স্মৃতিতে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়...
শুধু রাজনৈতিক গুরু নয়, তার ঊর্ধ্বে উঠে সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁর পরিবারেরই একজন হয়ে উঠেছিলেন বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, 'সুব্রতদা শুধু রাজনীতির গুরু ছিলেন না। বাড়ির বড়দা ছিলেন। মা মারা গেল। বাড়িতে এসে কতটা সময় বসে থাকল। কথা বলল। তখনও কি জানি চার মাসের মধ্যে তুমিও চলে যাবে!' স্মৃতিচারণা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ''স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব পাওয়ার পর বহু নকশালের জেল মুক্তির ব্যবস্থা করেন সুব্রতদা। আমায় বলত, 'মমতা গরিবের মেয়ে, ওকে উঠতে দে।' সংগ্রামী নেতা না থাকলে সংগ্রামী নেত্রী তৈরি হয় না। সংগ্রাম তৈরি হয় না। আন্দোলন তৈরি হয় না।''