তিনি জেল বন্দি। তবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ানোরই বার্তা দিয়েছেন পার্থবাবু। যদিও অভিষেক সম্প্রতি শহিদ মিনারের সভা থেকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল দুর্নীতিকে সমর্থন করে না৷ তার প্রমাণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত৷
আরও পড়ুন: বাম আমলে বিরাট বেআইনি নিয়োগ? নাম ধরে 'প্রমাণ' সামনে আনলেন জ্যোতিপ্রিয়, সৌগতরা
advertisement
অভিষেকের এই মন্তব্যে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও পার্থ এর আগের দিন আদালতে হাজিরা দিয়ে বেরনোর সময় দাবি করেন, 'অভিষেকের মন্তব্যে নিয়ে কিছু বলব না৷ কিন্তু দলের কাছে প্রমাণ করব, আমি কোনও অন্যায় করিনি৷ আমি মন্ত্রী ছিলাম, নিয়োগ কর্তা না৷' তবে বারবার দলনেত্রীর ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে পার্থর মুখে। পার্থ বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে মমতার লড়াই চিরকাল ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার হয়ে লড়াই করার সংগ্রামী নেত্রী। তিনি বাংলার ভাগ্য দেখবেন, উন্নয়ন দেখবেন। উনি বাংলার টাকা উদ্ধার করবেন। বিনা বিচারে জেল বন্দি হয়ে পরে আছি। সত্য একদিন বেরোবে। মমতার উপরে একশো শতাংশ ভরসা আছে৷'
আরও পড়ুন: ৭১,০০০ চাকরির নিয়োগপত্র বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী, মোদির কর্মসূচি ঘিরে তুঙ্গে শোরগোল
এদিন অবশ্য জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে বৃহস্পতিবার পার্থ, সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদদের আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে ঢোকার আগে পার্থ বলেন, বেহালাবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এর পর সাংবাদিকরা তাঁর কাছে তৃণমূলের জাতীয় দলের স্বীকৃতি বিলোপ নিয়ে প্রশ্ন করেন। জানতে চান ইডি চাপ দিচ্ছে বলে কুন্তল ঘোষ যে অভিযোগ করেছেন সে প্রসঙ্গেও। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি তিনি। তবে, আদালত কক্ষ থেকে বেরোনোর সময় ফের তৃণমূলের জাতীয় দলের ক্ষমতা বিলোপ প্রসঙ্গে পার্থবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ''ফের জাতীয় দলের মর্যাদা ফিরে পাবে দল।''