এমন জল্পনার কারণ কী? সূত্রের খবর, আদালতে গতদিনের শুনানির সময় বিচারকের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ''আমাকে ৫ মিনিট সময় দিন। আমার কিছু বলার আছে।'' সেই সময় এদিন বিচারক যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেন, তাহলে আদালত কক্ষে মুখ খুলতে পারেন তিনি। সেক্ষেত্রে তিনি কী বলবেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আমাকেও ডেকেছিল তদন্তে, কী হল সেটার?' বিস্ফোরক বিমান বসু! কোন তদন্তের কথা বলছেন?
প্রসঙ্গত, যত দিন যাচ্ছে ততই জটিল হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। সংশোধনাগারে বন্দী প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের যুব নেতারা। তদন্তে উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরীক্ষায় ভালো ফল করে নয়, বরং তৃণমূল নেতাদের সুপারিশেই স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে হাজার হাজার যুবক-যুবতীকে। এরই মধ্যে বর্ধমানের এক তৃণমূল বিধায়কের 'সুপারিশপত্র' সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: ধারণা ছিল না কারও, এবার এমন একজনকে ডাকল ইডি, তিহাড়েও আরও ভয় গ্রাস অনুব্রত মণ্ডলকে!
ওই নিয়োগ পত্রে দেখা যাচ্ছে, বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক তাঁর বিধায়কের প্যাডে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন ১১ জনের নাম। প্রাইমারি স্কুলে চাকরির জন্য সেই 'সুপারিশপত্র' তিনি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ওই চিঠি লেখা হয়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
ওই সুপারিশপত্র প্রকাশ্যে আসার পরই এই বিষয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। অবশ্য এই বিষয়টিকে খুব একটা পাত্তা দিতে রাজি নন ওই বিধায়ক। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ''এ ব্যাপারে কিছু জানি না। খোঁজ খবর নিয়ে বলতে পারব।''