গ্রেফতার করার পরই ইডি পার্থকে নিয়ে গিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে। ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, পার্থকে হাসপাতালে ভর্তি করার মতো অবস্থা নেই। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর শ্বাস–প্রশ্বাসে সামান্য সমস্যা রয়েছে। আর কিডনিতে ক্রনিক কিছু সমস্যা রয়েছে। শরীরের ওজনও বেশি। এমনকী তাঁর যা ওষুধও দেওয়া হয়েছিল। তারপর জেলেই কাটছিল পার্থের দিন। হঠাৎই তাঁকে জেলের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। যদিও জেল হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে, এমন নয়।
advertisement
আরও পড়ুন: 'কোথায় কত টাকা, কীভাবে আসত, কাকে পাঠাতেন?' সিবিআইকে চমকে দিচ্ছে অনুব্রতর ব্যবহার
জেল সূত্রে খবর, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একাকিত্ব এবং হতাশা গ্রাস করতে শুরু করেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে। তবে সূত্র মারফৎ এটুকু জানা গিয়েছে যে, তাঁকে জেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এখন তাঁকে এসএসকেএমের চিকিৎসকরা দেখছেন।
এদিকে, শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, তার পরিবারে অন্য সদস্যরাও আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়েছেন। এমনই তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। আর এই তথ্যই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কফিনে শেষ পেরেক বলেই মত ওয়াকিবহল মহলের। হেফাজতে থাকাকালীন তদন্তে অসহযোগিতা ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সঙ্গে তেমন কোন সম্পর্ক না থাকার কথা জানালেও তথ্য কিন্তু বলছে অন্য কথা।
আরও পড়ুন: 'পার্থর ৩০০ কোটি, অনুব্রতর ৫০০ কোটি...', বিস্ফোরক অভিযোগ দিলীপ ঘোষের! তুমুল শোরগোল
এমন এক নথি সামনে এসেছে তাতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শুধু মুখ চেনা সম্পর্ক নয়, আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক সামনে এনেছে। তাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী, কন্যা ও জামাই সমভাবে জড়িত তার তথ্য প্রমাণ ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ইডি।সূত্রের খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিটি রোডের অভিজাত আবাসনের যে ফ্ল্যাট টিকে বিভিন্ন সংস্থার ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে তারই একটি অনন্ত texfab প্রাইভেট লিমিটেড।
এই সংস্থার তথ্য খতিয়ে দেখতে গিয়ে ইডি কর্তারা জানতে পেরেছেন আদতে এই সংস্থার ১০০ শতাংশ শেয়ার ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের তিন সদস্যের নামে।এই টেক্সটাইল সংস্থায় পনেরো শতাংশ শেয়ার ছিল তার স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে। এছাড়াও ৭৫ শতাংশ তার মেয়ে সোহিনী চট্টোপাধ্যায় ও দশ শতাংশ জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য নামে শেয়ার ছিল। তথ্য বলছে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই তিনজনেরই শেয়ার ছিল টেক্সটাইল সংস্থা অনন্ত টেক্সফাব প্রাইভেট লিমিটেডে।