শুধু তাই নয়, মাঝেমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাচ্ছে কীর্তন করতে। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে থাকার সময় বিভিন্ন ব্যক্তি দেখা করতে আসছেন। তবে বেশিরভাগ লোকই পার্থর অপরিচিত। তাতে বিরক্ত হচ্ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে গত বৃহস্পতিবার ফের আদালতে তোলা হয়েছিল তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। শুনানি চলাকালীন কিছুক্ষণের জন্যে এজলাসে নিয়ে আসা হয়েছিল পার্থ এবং অর্পিতাকে। আর সেখানেই কার্যত বোমা ফাটিয়েছিলেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা। অথচ সেই বিস্ফোরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভোল পাল্টে ফেললেন পার্থ। বললেন, ''দলের সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি।''
advertisement
আরও পড়ুন: সিবিআই নজরে মুর্শিদাবাদের একের পর এক থানা, অনুব্রত কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
শনিবার অসুস্থ বোধ করায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষার পর বেরোনোর সময়ই তৃণমূলের সঙ্গে থাকার বার্তা দেন পার্থ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের সমস্ত দলীয় পদ থেকেও অপসারিত করা হয়েছে তাঁকে। এরপরও হঠাৎ দলের সঙ্গে থাকার বার্তা দিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অনুব্রতকে ডাকেন 'বাবা', সেই বিদ্যুতের বাড়িতে হানা CBI-এর! হতে চলেছে বড় রহস্য ফাঁস?
এমনকী শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালে গেলেও এবার আর এসএসকেএমের চিকিৎসকদের বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলেননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী৷ হাসপাতালে নানাবিধ পরীক্ষা করা হলেও একবারের জন্যও হাসপাতালে ভর্তি নেওয়ার কথা চিকিৎসকদের বলেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভর্তি নিয়েছিল এসএসকেএম হাসাপাতাল৷ কিন্তু আদালতের নির্দেশে পার্থকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি৷ সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রাখার প্রয়োজন নেই৷ এই ঘটনার পরই এসএসকেএম হাসপাতালকে নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করে৷ হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালতও৷
---সাহ্নিক ঘোষ