এ ছাড়া এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে থাকাকালীন জোকা ইএসআই হাসপাতালে একাধিকবার চিকিৎসা বা চিকিৎসক পর্যবেক্ষণ করেছেন ৷ বর্তমানে জেল হাসপাতালে প্রতিনিয়ত তাকে চিকিৎসকরা এসে দেখে যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, স্থূলকার চেহারার কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোমর ও পায়ের সমস্যায় ভুগছেন ৷ তাই তাঁকে অর্থোপেডিক চিকিৎসকরা এসে দেখে যান এমনটাই চাইছেন জেল কর্তৃপক্ষ ৷ তাই সিএমওএইচের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে এই বিষয়ে৷
advertisement
আরও পড়ুন- বঙ্গ বিজেপির 'নড়বড়ে' ভিত শক্ত করতেই কাঠামো পরিবর্তনের ভাবনা, মনে করছে রাজনৈতিক মহল
রবিবার সকালেই প্রথম স্নান করেছেন পার্থ। তাঁর সেলের বাইরেই জলভরা একটি ড্রাম রাখা হয়। তা থেকে মগে করে জল নিয়ে নিজেই মাথায় ঢেলে স্নান সারেন। গা-হাত মোছার একটি কাপড়ও দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, জেলে ঢোকার পর থেকেই পা ফুলছে পার্থর।
ব্যথা রয়েছে কোমরেও। ফলে কয়েদিদের জন্য় বরাদ্দ স্নানের জায়গায় যেতে পারেননি তিনি। সেলের বাইরে কোনওরকমে স্নান সেরেছেন। আগেই চিকিৎসকের কাছে তিনি আবেদন করেছিলেন একটি খাটের।
আরও পড়ুন- বয়ফ্রেন্ড অফ দ্য ইয়ার ! ডেটে গিয়ে বেছে দিলেন গার্লফ্রেন্ডের মাথার উকুন! ভিডিও ভাইরাল
চিকিৎসককে জানান, একেবারে মেঝেয় তিনি বসতে পারেন না। একবার কষ্ট করে বসে পড়লে উঠতেও পারেন না। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে শেষমেশ চিকিৎসক তাঁর জন্য খাটের সুপারিশ করেন। জেল কোডের সমস্ত দিক বিবেচনা করে মানবিক কারণে পার্থবাবুকে তাঁর আবেদনমতো খাটটি দেওয়াও হয়। তাতে তাঁর বসার বেশ সুবিধা হয়েছে। সেই খাটেই প্রতিদিন দিনভর তাঁকে ঘুমোতে দেখা গিয়েছে। শুধু ঘুম নয়, বেশ ভাল ঘুম হচ্ছে তাঁর। দুপুরেও ঘুমিয়েছেন। বিকেলেও ঘুমিয়েছেন। এ ছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলের সেলে বই চেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিনি জেল ক্যান্টিন থেকে বেগুনি, আলুর চপ আনিয়ে খেয়েছেন ৷ তবে সহবন্দিদের সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে এখনও দেখা যায়নি ৷