এই দোকান থেকেই গত বছর পুজোর সময়ে অর্পিতার জন্যে গয়না কেনা হয়েছিল বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর সে কারণেই এই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা ছাড়াও, জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে দোকানের কর্মীদের। মধ্যমগ্রামের কাছের এক বস্ত্র বিপণীর নাম এর আগে তদন্তে উঠে এসেছে। সেই সংস্থার মালিককে সাথে নিয়েই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই দোকানে হাজির হতেন বলে সূত্রের খবর। তাঁরও খোঁজ চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
advertisement
আরও পড়ুন - Joka-Esplanade Metro: দীর্ঘ প্রতীক্ষা অবসানের পথে, জোকা থেকে তারাতলা মেট্রো নিয়ে বড় আপডেট
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই স্বর্ণ বিপণির বয়স বেশি দিন নয়৷ নানা অলঙ্কারে ভরা থাকা এই দোকানেই মাঝে মধ্যেই উঁকি মারতেন ম্যাডাম অর্পিতা। আপাতত গোয়েন্দা নজরে এই দোকান। এরপর থেকে প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক সম্পত্তির খবর। বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি, গাড়ির যে তালিকা এখনও পর্যন্ত উঠে এসেছে, তার বাজারমূল্য কোনও ভাবেই ১০০ কোটি টাকার কম নয় বলে ধারণা তদন্তকারীদের। এ ছাড়া, অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ৫৫ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার নগদ এবং সোনা তো আছেই।
ইডির প্রথম অভিযান হয় ২২ জুলাই। টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ ছাড়াও, ৫৬ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রা এবং ৭৬ লক্ষ টাকার সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকেরা। ২৩ তারিখ গ্রেফতার করা হয় পার্থ এবং অর্পিতাকে।এই ঘটনার পাঁচ দিন পর, বেলঘরিয়ার বহুতল আবাসন ‘ক্লাব টাউন হাইটস’-এ অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় ইডি। আবাসনের ২ নম্বর ব্লকের ২-এ ফ্ল্যাট থেকে বিশেষ কিছু উদ্ধার না হলেও, ৫ নম্বর ব্লকের ৮-এ ফ্ল্যাটে ঢুকে রীতিমত থ হয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন - Commonwealth Games 2022: গেমস ভিলেজে মজুদ থাকছে দেদার কন্ডোম, প্রতি খেলোয়াড় পিছু সংখ্যা ২৩ টি কন্ডোম
টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটের মতো ইডি এই ফ্ল্যাট থেকেও ‘টাকার পাহাড়’ উদ্ধার করে। বেলঘরিয়ার ৮-এ ফ্ল্যাটটির শোবার ঘর এবং শৌচালয় থেকে মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ নগদ টাকা এবং ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া সোনার মধ্যে বাট, রকমারি হার, ছ’টি কঙ্কন (বালা), ঘড়ি-কলমও ছিল। অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি ৩৬ লক্ষ এবং ৫ কোটি ৭ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ইডি উদ্ধার করে। অর্থাৎ টাকা-সোনা মিলে মোট ৫৫ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হয়।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, এই গয়নার দোকানে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে আরও একজন ছিলেন। যিনি আবার বারাসাত অঞ্চলে একটি বস্ত্র বিপণীর মালিক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পরেই, খোঁজ নেই তাঁর। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি।
ABIR GHOSHAL