মঙ্গলবার ঘড়ি কাঁটায় তখন দুপুর ২.৫০ মিনিট। স্ক্রিনে ভেসে উঠল পার্থ-অর্পিতার মুখ। একে অপরকে এতদিন পরে দেখে তখন খানিক স্বস্তি মিলেছে। লাজুক হাসি হেসে একে অপরকে জিজ্ঞাসা করলেন 'ভাল আছ?' অর্পিতারও তখন একই প্রশ্ন 'ভাল আছেন?' ইশারায় পার্থর উত্তর 'ভাল আছি।' ঘড়ির কাঁটায় তখন ২.৫৪ মিনিট। পার্থ ইশারা করে অর্পিতার থেকে জানতে চান, খেয়েছেন কিনা। অর্পিতা জানান, খেয়েছেন। পাল্টা একই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন পার্থর দিকে। পার্থ জানান 'হ্যাঁ খেয়েছি'। অর্পিতা ইশারায় জিজ্ঞেস করেন 'শুনতে পাচ্ছ? পার্থ জানান 'না' ইশারা করে পাল্টা একই প্রশ্ন পার্থ করেন অর্পিতাকেও। অর্পিতাও যে তাঁর কথা শুনতে পাচ্ছেন না তা স্পষ্ট জানান। এরপর অর্পিতার দিকে জিভ বের করে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন, তা দেখে হেসে ফেলেন অর্পিতা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মোবাইল কোন কানে ব্যবহার করছেন? বড় ভুল হয়ে যাচ্ছে না তো! কী বলছে বিজ্ঞান, জানুন
এ দিকে, তখনও অর্পিতা উত্তর পান্নি। তাই ফের অর্পিতা প্রশ্ন করেন খেয়েছেন কিনা? এরপর পার্থ অর্পিতার দিকে বুকে হাত রেখে দেখান। সেই সময়েও হাসছিলেন অর্পিতা। ৩:0৮ মিনিট নাগাদ পার্থ নিজের নীল রংয়ের হাফ হাতা খাটো ঝুলের পাঞ্জাবি দেখিয়ে কেমন দেখতে জানতে চান, অর্পিতা মাথা নেড়ে ভাল লাগছের ইঙ্গিত দেন। ৩.১০ মিনিটে ফের অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রাক্তন মন্ত্রীর থেকে ইশারায় জানতে চান চা খেয়েছেন কিনা। ঠিক সেই সময় পার্থ বুকের বাঁ দিকের আঙুল দিয়ে কিছু লেখার ইশারা করেন। এরপর ৩.১১ মিনিটে ফের লাজুক হাসির বিনিময়।
আরও পড়ুনঃ ভারতের দীর্ঘতম ট্রেন কোনটি? কটা ইঞ্জিন প্রয়োজন হয় এই ট্রেন চালাতে? ৯৯% মানুষেই উত্তর অজানা
ভিডিও কল চলাকালীন ৩:১২ মিনিট নাগাদ হঠাৎই পার্থর স্ক্রিন ৩০ সেকেন্ড জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অর্পিতার চোখে-মুখে তখন কৌতুহলের দৃষ্টি আর একরাশ হতাশা। চঞ্চল হয়ে স্ক্রিনের সামনে এগিয়ে আসতে দেখা যায় তাঁকে। পার্থর স্ক্রিন ফিরতেই স্বস্তি ফেরে। ৩.১৭ মিনিট নাগাদ এ বারে অর্পিতা তাঁর চুলের গোছা সামনে আনেন, তা দেখে ফের মুচকি হাসি ঝলকে ওঠে পার্থ চট্টোপাধ্যের মুখে। অর্পিতার মুখেও তখন আলগা হাসি। পার্থর গোঁফ দেখে ভাল লাগছে বলে ইশারা করেন অর্পিতা। মশা কামড়াচ্ছে সেটাও দেখান।
৩.২২ নাগাদ ফের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফের স্ক্রিনের দিকে এগিয়ে এসে কী হল জানার চেষ্টা করে। পার্থর স্ক্রিন ফিরতেই ইশারায় অর্পিতা জানতে চান 'কেন disconnect হল?' পার্থ জানান, 'চা খাচ্ছিলাম' ( ইশারায়)। ৩.৩০ নাগাদ অর্পিতা ঠোঁট দেখিয়ে কিছু ইশারা করেন। পার্থ ইশারায় বলেন, মাথা কী খারাপ হয়ে গিয়েছে ? বেলা ৩.৩০ নাগাদ মানিক যখন বলতে শুরু করেন তখন তাঁরা কোর্টের দিকে নজর দেন। বিচারকের সামনে নিজেদের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরে কোর্ট যখন মুলতুবি হচ্ছে তখন পার্থ অর্পিতাকে লক্ষ করে হাত দেখান। অর্পিতা কিছু লেখার ইশারা করেছিলেন শেষে।
ARPITA HAZRA