বাইরে সুজন, শুভেন্দু, দিলীপের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও আদালতের ভিতরে এদিন, যথেষ্ট নমনীয়ই দেখা গেল পার্থকে। নিজেই নিজের জামিনের জন্য বিচারকের কাছে আর্জি জানালেন তিনি। কাতর কণ্ঠে বললেন, "মন্ত্রী হওয়া কী অপরাধ? শুধু রাজনৈতিক নেতারাই কী প্রভাবশালী? আট মাস অন্ধকার গুহার মধ্যে আছি।"
advertisement
যদিও তাঁর কথায় বিশেষ গুরুত্ব দেননি বিচারক। বলেন, "দুঃখের কথা বললে শোনা যাবে না। যা বলবেন বুঝে কথা বলুন। আপনি কিছু বললে আমায় অর্ডারে রাখতে হবে। তা আপনার বিরুদ্ধে যেতে পারে।"
তখনও পাল্টা যুক্তি দিতে থাকেন পার্থ। বলতে থাকেন, তিনি খুব ভাল ছাত্র ছিলেন, রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশোনা করেছেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে পাশ করে কেন্দ্রীয় সংস্থায় কাজও করেছেন। তাঁর সওয়াল, "৭০ বছর বয়স। বিরোধী দলনেতা থাকাকালীন কেউ অসৎ বলতে পারেনি।" পার্থর প্রশ্ন, আর কতদিন? আর কেন?
বিচারকের সোজা মন্তব্য, "আমি আইনের বাইরে যেতে পারব না। আমি অর্ডার যা দিচ্ছি, তা অ্যাডভোকেট-এর শুনানি শুনে দিচ্ছি। আমি জামিন না দিলে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন।"
আরও পড়ুন: অ্যাডিনো-হংকং ফ্লু-এর পরে ফের করোনা আতঙ্ক! নতুন ভ্যারিয়্যান্টে বাড়ছে চিন্তা
সবশেষে পার্থ অবশ্য বলেন, "আপনার উপরে ভরসা আছে। আইনের উপরে ভরসা আছে। আপনার হাতে ক্ষমতা আছে জামিন দেওয়ার।" পার্থর সওয়াল, তিনি চার্জশিটের কপি দেখেছেন। তাঁর মতে, তাতে এমন কিছু নেই যে তাঁকে আট মাস জেলে থাকতে হবে। এরপরেই বিচারকের পাল্টা মন্তব্য, তিনি কেস ডায়েরি দেখেছেন। সেটা দেখে যে কেউ লজ্জা পাবে।
ARPITA HAZRA