ছন্দপতন হয় চাকরি বিক্রির টাকার 'ভাগ বাঁটোয়ারা' নিয়ে। ইডি সূত্রে খবর, টাকার ভাগাভাগি নিয়ে সম্পর্ক ভাঙনের সূত্রপাত ঘটে তাঁদের মধ্যে। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, মানিক ভট্টাচার্যকে ডেকে রীতিমতো ধমকেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন, এত চাকরি হচ্ছে। কিন্তু টাকা কোথায়? পার্থ–মানিকের মোবাইল ঘেঁটে নানা কথা হাতে এসেছে। সেখানেও বিষয়টি ধরা পড়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: রেশনের সামগ্রী নিয়ে নিশানায় মমতা-সরকার, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর
যদিও মুখোমুখি জেরার সময় এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি বলে ইডি সূত্রে খবর। ইডির তদন্তকারীদের দাবি, পার্থ–মানিককে ২৮ জুলাই মুখোমুখি বসিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেখানে টাকার ভাগ নিয়ে ওই ঝগড়ার কথা তোলা হয়। তখন বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে ছিলেন দু'জনেই। এমনকী তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরার পরেও মুখ খোলেননি কেউ। তবে পরে দু'জনকে আলাদা আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বিড়াল।
আরও পড়ুন: ট্রেন থেকে উধাও! অসমের কিশোরকে ঘিরে আতঙ্ক, মালদহ টাউন স্টেশনে বাড়ছে রহস্য
ইডি সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইলে এসেছিল একটি মেসেজ। সেখানে লেখা ছিল, 'মানিক যা তা ভাবে টাকা তুলছে'। ওই এসএমএস আবার মানিককে ফরোয়ার্ড করেছিলেন পার্থ। রীতিমতো রেগে গিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী, সতর্ক করেছিলেন মানিককে। মূলত বড় অঙ্কের চাকরি বিক্রির টাকার হিসেব না পেয়েই ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন পার্থ। তিনি জানতে পেরেছিলেন, হিসাবের বাইরে টাকা তুলেছিলেন মানিক।