আজ পার্থ-অর্পিতার ইডি-হেফাজৎ শেষ। জানা যাচ্ছে, পার্থ-অর্পিতার জেল হেফাজতের আবেদন জানাবে ইডি। পাশাপাশি দু'জনকেই যাতে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি মেলে, সেই আবেদনও জানানো হবে ইডি-র তরফে। ইডি আধিকারিকের ভাষায়, '' এই তো সবে শুরু!'' জানা যাচ্ছে, আজকের শুনানিতে পার্থের জামিনের আবেদন করবেন তাঁর আইনজীবী। আগের শুনানিতেও আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু তা খারিজ করে দেওয়া হয়। আগের শুনানিতে অর্পিতার জামিনের আবেদন জানানো হয়নি তাঁর আইনজীবীর তরফে, আজ জানানো হবে কী না, তা অবশ্য জানা যায়নি।
advertisement
এদিন জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরোতে দেখা যায় অর্পিতাকে। তিনি হুইলচেয়ারে ছিলেন! সাংবাদিকরা ছেঁকে ধরতেই বলে উঠলেন, '' যা যা বলার সব ইডি-কে বলে দিয়েছি।''
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড এমএলএ কাণ্ডে তলব মহেন্দ্র আগরওয়ালের অফিস কর্মীকে, সামনে আসছে পাঁচ ব্যবসায়ীর নাম
অন্যদিকে, হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময়ও কোনও কথা বললেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে পার্থ-অর্পিতাকে। সূত্রের খবর, তাঁদের জেল হেফাজত চাইতে পারে ইডি।
এদিকে, বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার আদালতে তোলার আগে সকালে ফের পার্থ ও অর্পিতাকে মুখোমুখি জেরা করেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৩১টি জীবনবিমার নমিনি যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সেই পার্থ দাবি করেছেন, অর্পিতাকে তিনি নাকি তেমন ভাবে চেনেনই না। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতাকে দেখিয়ে পার্থকে প্রশ্ন করা হয়, '' আপনি এনাকে চেনেন?'; পার্থর দাবি, 'না তেমন ভাবে চিনি না!''
আরও পড়ুন: 'যা বলার সব ইডি-কে বলে দিয়েছি',হাসপাতাল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরোলেন অর্পিতা
ইডি আধিকারিকেরা ফের পার্থকে জিজ্ঞেস করেন, 'উনি কি আপনার খুব ক্লোজ?' পার্থর দাবি, 'না! নাকতলার পুজোর সময় দেখেছি।' মুখোমুখি জেরায় পার্থকে ইডি প্রশ্ন করেন, 'অর্পিতাকে তাহলে কী ভাবে চেনেন?', পার্থ বলেন, 'মাঝে মাঝে দেখেছি পুজোয়, অনেকেই সেখানে আসত'। টাকা উদ্ধার নিয়ে পার্থকে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন, 'শুনেছি টাকা পাওয়া গিয়েছে। এই টাকা আমার না। কার টাকা তাও জানি না।'
ইডি সূত্রে খবর, জেরার গোটা প্রক্রিয়া ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। ইডির দাবি, তথ্য প্রমাণ এক কথা বলছে, পার্থ অন্য কথা বলছেন। ইডির দাবি, পার্থ তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছেন এবং আদালতে এই কথা জানাবে তারা।