কলকাতা: কথায় আছে চোরের উপর বাটপারি। পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে রাহুল লালের খুনের ঘটনার তদন্তে চোরের উপরে চোরের চালাকির ইঙ্গিত পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পার্ক স্ট্রিট থানা সূত্রে দাবি, পার্ক স্ট্রিট এলাকায় অতীতে একাধিক চুরি ও প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে রাহুলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
advertisement
চুরি করা সামগ্রী ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের কাছে বিক্রি করে দিতেন রাহুল। বিনিময়ে মোটা টাকার মুনাফা পেতেন। পুলিশ মনে করছে, এবারও চুরি করা মূল্যবান সামগ্রী বিক্রি করার নেশাতেই খুন হয়েছেন রাহুল। চুরি করা কোনও মূল্যবান সামগ্রী বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ওই দিন বিকেলে দুই রিসিভারের (হোটেলে যাঁরা রাহুলের সঙ্গে গিয়েছিলেন) সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাহুল।
মূল্যবান জিনিস নিয়েই দুই অভিযুক্তের সঙ্গে হোটেলে যান রাহুল। পুলিশের আশঙ্কা, হোটেলের ঘরে সামগ্রীর হাতবদলের আগে ঝামেলার সূত্রপাত। মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণে সেই ঝামেলা থেকে হাতাহাতি, তারপর খুন হয়েছেন রাহুল। এমনই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এরপর সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুই সঙ্গী। অতীতেও চুরির জিনিস রাহুল বিক্রি করেছে, এই তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশের অনুমান, প্রমাণ লোপাটের জন্যই বিছানার চাদর সঙ্গে নিয়ে পালিয়েছে মৃত যুবকের দুই সঙ্গী৷ পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, রাহুলের দাদার পরিচয়পত্র দিয়ে ওই হোটেলের ঘর বুক করা হয়েছিল৷ বর্তমানে রাহুলের দাদা ওড়িশায় রয়েছেন৷ শুক্রবার পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের একটি হোটেলের তিন তলার ঘরের ভিতর থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷ বক্স খাটের ভিতরে ওই যুবকের মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা ছিল৷ পচা গন্ধ বেরনোর পর মৃতদেহের খোঁজ মেলে৷
