জানা গিয়েছে, হামলাকারী অক্ষয় কুমার মিশ্র ওড়িশার ঢেঙ্কানলের বাসিন্দা। প্রায় দেড় ঘণ্টা কলকাতা পুলিশের অপারেশনের পর আটক করা হয় তাকে, নিরস্ত্র করা হয়। কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, '' অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি চলেছে। বুঝিয়ে, নিরস্ত্র করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী কারণে গুলি, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ''
advertisement
নিজের ব্যারাকে তাণ্ডব দেখিয়ে অবশেষে আত্মসমর্পণ করেছে অভিযুক্ত জওয়ান। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার হাতে থাকা AK 47 রাইফেলটি। জানা যায়, গুলি চালানোর পর আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে বারাক চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল হামলাকারী৷ ফলে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছেও ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি পুলিশ৷ আততায়ীকে নিরস্ত্র করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল অ্যাকশন ফোর্স এবং সিআইএসএফের স্পেশ্যাল অ্যাকশন ফোর্স এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার (CP) বিনীত গোয়েল। তাঁরা সকলে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ড্রাগন লাইট হাতে নিয়ে ভিতরে ঢোকেন।ব্যারাকের ভিতরে ঢুকে পুলিশের স্পেশ্যাল অ্যাকশন ফোর্স ঘোষণা করে, আততায়ী যেন বন্দুক ফেলে আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণের জন্য পালটা শর্ত দেয় জওয়ান। বলে, পুলিশকে নিরস্ত্র অবস্থায় কথা বলার শর্ত দেয়। অতঃপর, ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে দল গঠন করে অভিযুক্তর সঙ্গে কথা বলা হয়। তাকে বুঝিয়ে নিরস্ত্র করে আটক করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা-৭টা নাগাদ ভারতীয় জাদুঘর যেন রণক্ষেত্র৷ আচমকাই ভারতীয় জাদুঘরের পাশে সিআইএসএফ ব্যারাক থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান বাকি জওয়ানরা। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যু হয়েছে সিআইএসএফের এএসআই রঞ্জিত ষড়ঙ্গির। আহত জওয়ানের নাম সুবীর ঘোষ। সামনে থাকা পুলিশের গাড়ির কাচও এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি চলেছে বলে পুলিশের দাবি।