মিছিলে যারা পা মিলিয়ে ছিলেন, তাঁরা ২০০৪ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন। প্রাথমিক কিংবা হাইস্কুলে পার্শ্ব শিক্ষকেরা তাদের মেধা অনুসারে স্কুলে সুযোগ পেয়েছিলেন।প্রথমে তাদের যে বেতন ছিল,সেই বেতন অল্প কিছু করে বেড়েছে। তবে এই মুহূর্তে প্রাথমিক পার্শ্ব শিক্ষকেরা পাচ্ছেন প্রায় ১০ হাজার টাকা। আর হাইস্কুলের পার্শ্ব শিক্ষকেরা পাচ্ছেন ১৩ হাজার টাকার কাছাকাছি।
advertisement
শেখ মইনুল হক, পূর্ব মেদিনীপুরের সুতা হাটার ‘ভূপতিনগর ত্রিলোচন হাই স্কুলে’র’পার্শ্ব শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু পার্শ্বশিক্ষকদের বাড়ি স্কুলের কাছাকাছি। তাই আমাদের প্রথমে স্কুলে এসে স্কুলের গেট খুলতে হয়। অন্যদিকে, স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা, যে বেতন পায়। তার তিন ভাগের এক ভাগ পার্শ্ব শিক্ষকেরা পাই।’’
অচিন্ত্য ঘোষ নদিয়ার কালীগঞ্জের ‘ছোট চাঁদ ঘর প্রাইমারি স্কুলের’ পার্শ্ব শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের কাজ থেকে আরম্ভ করে।সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ আমাদের দিয়ে করানো হয়। সঙ্গে স্কুলের পঠন পাঠনের দায়িত্বও নিতে হয়। আমরা যে বেতন পাই। তাতে আমাদের সংসার ঠিক মতো চলে না।’’
উপযুক্ত শিক্ষকের মর্যাদা এবং উপযুক্ত বেতনের দাবিতে তারা এদিন শিক্ষা দফতরে ডেপুটেশন জমা দেন। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঠিক তার আগেই,পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনের দাবিতে এই মিছিল সরকারের ওপর আলাদা চাপ তৈরি করার একটি প্রক্রিয়া কিনা, জল্পনা সেটাই। যে সমস্ত মহিলা পার্শ্বশিক্ষক বিবাহের আগে চাকরি পেয়েছিলেন। তাদের বিয়ে দূরবর্তী স্থানে হলেও, তাদের বাবার বাড়ির কাছের স্কুলেই শিক্ষকতা করতে হচ্ছে। তাঁরা বারে বারে বদলির চেষ্টা করেও আজও পর্যন্ত সফল হননি। অন্যদিকে, সামান্য বেতনে প্রতিদিন দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে তাঁদের। সঙ্গে বেতনের বেশিরভাগ অংশটাই রাস্তায় চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। উপায় খুঁজছেন তাঁরা।