বুধবার রাতেই চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর বৃহস্পতিবার সকালেই তিনটি জেলার ২০টি বুথে ভোট বাতিল করল কমিশন। কমিশনার রাজীব সিনহার এই পদক্ষেপে কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট অনেকে। যারা এতদিন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন, এখন তারাই বলছেন, ‘সঠিক পদক্ষেপ’। দেরিতে হলেও কমিশনার এই পদক্ষেপে খুশি বিরোধীরাও।
আরও পড়ুন – Wrestler Protest: মেরিকমের কমিটির সামনে যৌন শোষণের অভিযোগ, কোনও হয়নি লাভ
advertisement
গত ৮ জুলাই নির্বাচন এবং ১১ই জুলাই ভোট গণনার পর পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ। এই পড়বে কলকাতা হাইকোর্টের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদালতের নির্দেশ, সতর্ক কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ সত্ত্বেও হিংসা থামেনি গোটা রাজ্যে। বুধবার বিকেলে নির্বাচনী বিধি তুলে নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপরই এক নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল রাজ্যের মোট তিনটি জেলার ২০টি বুথের ভোটকে বাতিল করা হয়েছে।
হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনার সংশ্লিষ্ট এই বুথ গুলিতে ফের নির্বাচন হবে যখন আবার উপনির্বাচন ঘোষনা হবে তখন একসঙ্গে এই বুথ গুলি নির্বাচন হবে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে ঘোষণা করেছিলেন, যেখানে গণনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল সেখানে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। এরপরই গতকাল রাতেই সংশ্লিস্ট জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই কাউন্টার ম্যান্ডেটের নির্দেশ। ফলে এখুনি হচ্ছে না আর নির্বাচন। কমিশনের ৬৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এই জেলার এই বুথ গুলির ভোট বাতিল করা হয়েছে, পরবর্তীকালে ফের যখন উপনির্বাচন হবে তখন এই বুথ গুলিতে ভোট করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
RAJIB CHAKRABORTY