তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের দাবি, নতুন মুখ নিয়ে এসে প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ের ওপরেই ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ব্লক সভাপতি, বিধায়কেরা যৌথ ভাবে প্রার্থীদের নাম পাঠিয়েছিলেন। জেলা সভাপতিও একটি তালিকা জমা দিয়েছিলেন। সেই তালিকা ধরে দলীয় স্তরে আলোচনা হয়েছে। পুরনোদের একাংশকে কেন বাদ দেওয়া হচ্ছে, তার কারণও দলীয় স্তরে বিধায়ক, ব্লক সভাপতিরা দলকে জানিয়েছেন। একই পদ্ধতি পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও।
advertisement
পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে অঞ্চল সভাপতি, বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিরা নাম জমা দিয়েছেন। তা থেকে দু’টি করে নাম রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। তবে ‘নবজোয়ার যাত্রায়’ ভোটাভুটিতে উঠে আসা নাম নিয়েও খোঁজ নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ফোনে যারা মতামত দিয়েছিলেন তাদের নামও গ্রহণ করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঝাড়াই-বাছাই করেই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, ‘নবজোয়ার যাত্রায়’ জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে নতুন মুখ তুলে আনার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটের সময়েও অনেক জায়গায় নতুনদের তুলে আনা হয়। যুবদের পাশাপাশি সমাজের নানা স্তরে প্রতিষ্ঠিত, এমন লোকজনকেও এ বার প্রার্থী করেছে দল।
আরও পড়ুন: বিরাট সাইজের ইলিশ ধরা পড়ল জালে! দাম উঠল সাড়ে ৮ হাজার টাকা! ওজন কত? শুনলে চমকে যাবেন
আবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন লোকজনকেও গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল। বিদায়ী পঞ্চায়েতের তিন স্তরে দায়িত্বে থাকা পদাধিকারীদের একটা বড় অংশ বাদ গিয়েছেন বলেই দলীয় সূত্রে খবর। এই কৌশলেই পঞ্চায়েতে প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতা কাটাতে চাইছেন নেতৃত্ব, মনে করছেন তাঁরা। তবে নতুন যারা টিকিট পেলেন, তাঁরা জিতে আসলে, তাদের কাজের প্রতিও নজর রাখা হবে বলে আগে থেকে জানিয়ে দিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।