বুথের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে মোট ৬৬ হাজার সশস্ত্র পুলিশ কর্মী। এছাড়া মোট ৮৫০০ মোবাইল ইউনিট থাকবে। যারা ভোটের দিন এলাকায় এলাকায় টহলদারি চালাবে। এছাড়া ডিসিআরসি এবং স্ট্রংরুমের নিরাপত্তাতেও থাকবে সশস্ত্র বাহিনী।
advertisement
প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কিনা এই প্রশ্ন অত্যন্ত বড় আকারে দেখা দিয়েছে। এদিনই বকেয়া আরও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ফলে পঞ্চায়েত ভোট করানোর জন্য রাজ্যের হাতে থাকছে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের পুলিশও মোতায়েন করা হবে পঞ্চায়েত ভোটে। ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ৮০ হাজারের কাছাকাছি রাজ্যের নিজস্ব বাহিনীর পাশাপাশি পড়শি রাজ্যের পুলিশ পঞ্চায়েত ভোটে মোতায়েন করা হবে বলেই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কমিশনের নির্দেশ সব বুথেই সিসিটিভি নজরদারি থাকবে। সম্ভব না হলে ভোট প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে। সব বুথ চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।কমিশনের তরফে নোডাল অফিসার হিসাবে অতিরিক্ত সচিব এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) বাহিনী মোতায়েন ও পরিচালনার বিষয়টি দেখভাল করবেন।
আরও পড়ুন: আচমকা গাড়ি ঘিরে ধরলেন মহিলারা…! পঞ্চায়েতের প্রচারে গিয়ে যা ঘটল সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে
ভোট প্রক্রিয়ার ওপর নজরদারির জন্য ২২ জেলায় ২১ আইএএস আধিকারিককে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও ২৩৮ জন ডব্লুবিসিএস আধিকারিককে সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসাবে ব্লকস্তরে নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। সাধারণ মানুষের ভোট সংক্রান্ত ভাব অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সোমবার থেকেই ব্লক, মহকুমা ও জেলায় কমিশনের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রাজ্যের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমের নম্বর ১৮০০৩৪৫৫৫৫৫৩।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের গণনা হবে কেন্দ্রীয় ভাবে । সেই মত ব্লকস্তরে একটি করে কেন্দ্রীয় গণনা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। ভোট গণনা হবে ১১ জুলাই। যদিও বিরোধীরা প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে অনড় রয়েছে।