শতদ্রু দত্তের দাবি অনুযায়ী, ওই ৮৯ কোটির মধ্যে প্রায় ৩০ কোটি টাকা তোলা হয় টিকিট বিক্রি করে। বাকি প্রায় ৩০ কোটি টাকা স্পনসরদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে তিনি জানান। তবে পুরো আর্থিক হিসেব নিয়ে তদন্তকারীরা বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।
প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ ঘটনা! ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন ৪ জীবন
advertisement
মেসির ইভেন্টে বিশৃঙ্খলা হল কেন? শতদ্রু দত্তকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এল নতুন তথ্য!
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, মাঠে গ্রাউন্ড পাস ইস্যু করা হয়েছিল মাত্র ১৫০টি। কিন্তু এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার অনুরোধে সেই গ্রাউন্ড পাসের সংখ্যা তিনগুণ বাড়াতে বাধ্য হতে হয় বলে দাবি করেন শতদ্রু দত্ত। এর ফলেই মাঠে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হয় বলে তাঁর বক্তব্য।
তদন্তে উঠে এসেছে, মাঠে প্রবেশের পর লিওনেল মেসির গায়ে ও পিঠে একাধিকবার হাত দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে মেসি বিরক্ত হয়ে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের বিষয়টি জানান। নিরাপত্তারক্ষীরা গোটা পরিস্থিতির কথা শতদ্রু দত্তকে জানালে, তিনি তড়িঘড়ি অ্যানাউন্সমেন্ট করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। দেড় ঘণ্টার জন্য নির্ধারিত অনুষ্ঠান মাত্র কুড়ি মিনিটের মধ্যেই শেষ করে মাঠ ছাড়েন মেসি। তদন্তকারীদের কাছে শতদ্রু দত্ত জানান, মেসি মাঠে ঢোকার পর কতক্ষণ থাকবেন, তা নিয়ে যে ফ্লোচার্ট আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছিল, মাঠে প্রবেশের পরই সেই পুরো পরিকল্পনা ভেঙে পড়ে।
এই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা গোটা ইভেন্টের পরিকল্পনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
