বিভিন্ন শোরুমের ক্ষেত্রে দিনসংখ্যাটা পাল্টালেও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন নেই। বেশিরভাগ শোরুমের ডিসপ্লে ইউনিটের গায়ে 'আউট অফ স্টক' স্টিকার মারা। পছন্দসই এসি পছন্দ করলেও, স্টক আদৌ মিলছে না তার বুকিং করার সময়। পার্ক সার্কাসের একটি নামকরা শপিংমলের একটি অংশে বিক্রি হয় এই ধরনের ইলেকট্রিকাল গুডস। যেখানে সেলারদের দৈনিক টার্গেট ৮৪০০০ টাকার জিনিস বিক্রি করার। সেখানে গত কয়েকদিনে প্রায় প্রত্যেক দিনই তিন লক্ষ টাকার বেশি জিনিস বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা। যদিও ব্যবসায়ীদের মতে এই পরিস্থিতি খুবই সাময়িক। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে পারবেন বলে তারা যথেষ্টই আশাবাদী। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি যে পাল্টে যাবে তাও মানছেন ব্যবসায়ীরা।
advertisement
একই রকম পরিস্থিতি অনলাইন বাজারেরও। অনলাইন বাজারেও এসি কুলার সহ এই জাতীয় ইলেকট্রিকাল গুডস এর একটা বড় অংশই এখন আউট অফ স্টক। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সরাসরি সে কথা লেখা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা আপনার পিনকোডের জন্য উপলব্ধ নয় বলেই জানানো হবে সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স ওয়েবসাইটের তরফে। আমাজন, ফ্লিপকার্ট এর মত বহুজাতিক এবং নামকরা ওয়েবসাইটগুলো থেকেও পাওয়া যাচ্ছে না পছন্দ সই এসি। শুধুমাত্র এসি নয় পাশাপাশি দেদার বিকোচ্ছে কুলার এবং কুলিং ফিচার যুক্ত অত্যাধুনিক স্ট্যান্ড ফ্যানও। যাদের পকেটের সামর্থ একটু কম, তারাও ভরসা রাখছেন এই কুলারের উপরেই। যদিও এসবের মধ্যে সাময়িক স্বস্তি খুঁজে বেড়ালেও এই গরম কবে কমবে সেই প্রশ্নের উত্তর আপাতত খুঁজছে গোটা রাজ্যবাসী।