অভিযুক্ত বিক্রম পুরো অনলাইন প্রতারণা মামলায় মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করতেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মূলত আমির খানের টাকা বিক্রম নিয়ে ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে রুমেনকে পাঠাতো বলে জানতে পারে পুলিশ, ২০২০ সালে রুমেন ও বিক্রম সল্টলেকের একটি অফিসে পরিচয় হয়, তারপরেই বিভিন্ন সময় দেখা হয় রুমেন ও বিক্রমের। পুলিশ সূত্রে খবর বিক্রমের একটি কল সেন্টার ছিল, আমির খানকে গ্রেফতারের পরে বিভিন্ন কল সেন্টারে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নাম উঠে আসে বিক্রম সিং গান্ধীর। অভিযুক্ত বিক্রমের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। বিক্রমের মাধ্যমে অনলাইনে দু’কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলেও পুলিশ মনে করছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সাপ ধরা ও খেলা নিষিদ্ধ! কাজের অভাবে খাওয়ার জুটছে না পুরুলিয়ার সাপুড়েদের!
সূত্রের খবর, বিক্রমকে নগদ কয়েক কোটি টাকা দিয়েছিলেন আমির। বিক্রম সেই টাকা অভিযুক্ত রুমেন দেন। রুমেন পরে আবার সেই টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তরিত করেন। পুলিশের দাবি বিক্রমের থেকে একাধিক তথ্য উদ্ধার করে তদন্তের বিভিন্ন দিক খুলে যেতে পারে। মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলি, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা, নিউটাউন-সহ শহরের ছ’টি জায়গায় গত ১০ সেপ্টেম্বর অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই অভিযানে আমিরের ঘরের খাটের তলা থেকে বান্ডিলের পর বান্ডিল নগদ টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আমিরের আস্তানা থেকে মোট ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর থেকে কলকাতা পুলিশের জালে আমির খান ধরা পড়তেই রোজই কোটি কোটি হিসাব কার্যত অবাক করেছে গোয়েন্দাদের।
Susovan Bhattacharjee